×
  • ঢাকা
  • রবিবার, ০২ এপ্রিল, ২০২৩, ১৮ চৈত্র ১৪২৯
Active News 24

নেত্রকোনায় ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ


ইকবাল হাসান | নেত্রকোনা প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুলাই ১৮, ২০২১, ০২:০৫ পিএম নেত্রকোনায় ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ

নেত্রকোনার মদনে পল্লীতে এক কিশোরীকে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করে ধর্ষণকারী, সেই ভিডিও ফেসবুকে যোগাযোগের মাধ্যমে ছেড়ে দিবে বলে ভয় দেখিয়ে ভিকটিমকে বহুমাত্রিক উপায়ে একাধিক বার ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ব্যাপারে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে ১৬ জুলাই রোজ শুক্রবার থানায় একটি দর্শনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন, বলে ওসি তদন্ত উজ্জ্বল কান্তি সরকার নিশ্চিত করেছেন।

উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নের কেশজানী গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে।

অভিযোগ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, একই গ্রামের মৃত সিদ্দিক মিয়ার ছেলে জাহাঙ্গীর ( ২২) ভিকটিম কে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে দর্শন করে, দর্শনের চিত্র তার মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে রাখে।

আরো পড়ুন: বিয়ের পর দিন ট্রাক চাপায় মারা গেলেন স্কুল শিক্ষক

ভিকটিমের মা বলেন, “আমার মেয়ে কে গত ২৪-৬-২০১৯ সালে কেন্দুয়া থানার গড়াডোবা ইউনিয়নে বাশাটি গ্রামের মুখদুম আলির ছেলে রুবেলের ( ২৩) কাছে ২ লাখ টাকা দেনা করে বিবাহ দেই, এখনও সেই দেনার টাকার শোধ দিয়ে যাচ্ছি।”

“আমার মেয়ে বিবাহর পর থেকে, স্বামীর সংসারের যাইতে রাজি না, তখন আমি মেয়ে কে বলি ঘটনা কি, স্বামীর ঘরে যাবিনা কেন, তখন আমার মেয়ে ঘটনাটি খুলে বলে যে, বিবাহের পূর্বে জাহাঙ্গীরের বোনকে খুঁজে তাদের ঘরে যাই গিয়ে দেখি ঘরে ভিতরে কেউ নাই, হঠাৎ পিছন থেকে জাহাঙ্গীর আমাকে মুখ চেপে ধরে দর্শন করে, লোক লজ্জার ভয়ে কারো কাছে বলি নাই যে, আমার বিবাহটা ভেঙ্গে যাবে।”

ভিগটিম বলে, “বিবাহের পরে আমি স্বামীকে নিয়ে আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসলে জাহাঙ্গীর আমাকে দর্শনের ভিডিও টি দেখায় ও বলে আমার স্বামী কে দেখাবে নইলে তার সাথে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হতে হবে যা আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে সে লাগাতার করে যাচ্ছে। এক পর্যায়ে সে আমাকে বলে তোমার স্বামী কে তালাক দিয়ে আস আমি তোমাকে বিবাহ করব, যা আমি করতে বাদ্য হই। গত ৩রা জুলাই বিবাহের কথা বলে নিয়ে গিয়ে আবার দর্শন করে, এক পর্যায়ে তাঁর হাতে থাকা মোবাইলটা আমি নিয়ে আসি এই মোবাইলের ভিতরে সব প্রমান আছে।”

আরো পড়ুন: মহেশপুরের আলোচিত রাতুল হত্যাকান্ডের প্রধান আসামী গ্রেফতার

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জাহাঙ্গীরের বড় বোন শিল্পি আক্তার জানান, সত্যতা যাচাই করে মেডিকেল রিপোর্ট আসলে যা শাস্তি হয় আমরা তা মেনে নিব।

জাহাঙ্গীরের চাচা নুরুল ইসলাম বলেন, “এই মেয়েলি কাজটা করার জন্য আমরা তাকে মার-ধর ও করেছি।”

কাইটাল ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান সাফায়ত উল্লাহ (রয়েল) বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি, যা দুঃখজনক ব্যাপার, এর বিচার আইনানুগ ভাবে সঠিক  ব্যবস্থা হোক এটাই কাম্য।

এ ব্যাপারে ওসি তদন্ত উজ্জ্বল কান্তি সরকার বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ইউসুফ / একটিভ নিউজ