অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের সময় টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশের মুঠোফোনে কথা বলার বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। এ ঘটনায় আদালতে দায়িত্ব অবহেলার কারণে এক এসটিআইসহ চার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। সেইসঙ্গে ওসি প্রদীপকেও সতর্ক করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. হাসানুজ্জামান আজ বুধবার (২৫ আগস্ট) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এসটিআই শাহাব উদ্দিনসহ চার পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।
প্রসঙ্গত, প্রথমে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে সাক্ষ্য দিচ্ছিলেন মামলার বাদী শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। কীভাবে ভাইকে হত্যা করা হয়, সেই বর্ণনা আদালতে উপস্থাপন করছিলেন তিনি। বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে তখন ১৫ আসামি। তাদের মধ্যে রয়েছেন টেকনাফ থানার বহিষ্কৃত ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস।
এরপর দুপুর ১২টার দিকে হঠাৎ দেখা যায় আসামি প্রদীপ কুমার কাঠগড়ায় বসে মোবাইল ফোনে কথা বলছেন! সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানকে গুলি করে হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামি এই প্রদীপ কুমার দাস।
রেজাউল করিম / একটিভ নিউজ
আপনার মতামত লিখুন :