খুলনার পাইকগাছা থানা পুলিশ গত ২৪ঘন্টায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে মাদক, নারী নির্যাতন ও ওয়ারেন্টভুক্ত ১৩ আসামীকে আটক করেছে।
শনিবার সকালে তাদের প্রত্যেকে আইনি প্রক্রিয়া শেষে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালতে পাঠিয়েছে।
পাইকগাছা থানার ওসি (তদন্ত) জিয়াউর রহমান জানিয়েছেন, গত ২৪ ঘন্টায় বিশেষ অভিযানে উপজেলার রাড়ুলী ইউনিয়নের কাটিপড়া বাজার দুইজন মাদক ব্যবসায়ী মাদক বিক্রির জন্য অবস্থান করছিল। এ সময় রাড়ুলী ক্যাম্প পুলিশ গোপন সংবাদে সেখানে অভিযান চালায়।
পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালানোর সময় ক্যাম্প পুলিশের উপ-পুলিশ পরিদর্শক মধুসুধন পান্ডে তাদেরকে আটক করে। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী প্যান্টের পকেটের ভিতর থেকে ১শ গ্রাম গাঁজা (মাদক) পাওয়া যায়।
তিনি আরো জানান, সোলাদানা ইউনিয়নে মৃত বেলাল গাজীর পুত্র জিয়াউর রহমান (৩৮) তার স্ত্রীকে যৌতুকের জন্য প্রায় সময় মারপিট করে। গত ২৩ সেপ্টেম্বর তার যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে পিটিয়ে আহত করে। হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে ১ অক্টোবর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করে।
ওই মামলায় রাতে জিয়াউরকে আটক করা হয়। পরে রাতভোর বিশেষ অভিযানে ওয়ারেন্ট ভূক্ত কপিলমুনি ইউনিয়নের কাশিমনগর গ্রামের জিতেন্দ্র নাথের ছেলে জগদীশ রায়, চাঁদখালী ইউনিয়নের শাহাপাড়ার মিজান সরদারের ছেলে রহিম সরদার, হরিঢালী ইউনিয়নের দক্ষিণ সলুয়া গ্রামের ইরফান সরদারের ছেলে জাকির হোসেন, রাড়ুলী ইউনিয়নের শ্রীকন্ঠপুর নিজাম খাঁ ছেলে হাফিজুর খাঁ, একই এলাকার গাজী খাঁর ছেলে নিজাম খাঁ, লস্কর ইউনিয়নের মাঠাম গ্রামের খোকন সরদারের ছেলে মাহাবুব সরদার, চাঁদখালী ইউনিয়নের মৌখালী গ্রামের আসাদুল গাজীর ছেলে আলিম হোসেন, গদাইপুর ইউনিয়নে তকিয়া গ্রামের মোঃ ঝড়ু রেজার ছেলে নূরুল ইসলাম রেজা, পুরাইকাটি গ্রামের অহেদ গাজীর ছেলে রাসেল গাজী ও আরিফ দফাদারের ছেলে আজিজ দফাদারকে আটক করা হয়।
পাইকগাছার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এজাজ শফী জানান, গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে মাদক, নারী নির্যাতন ও ওয়ারেন্টভুক্ত ১৩ জনকে আটক করা হয়। শনিবার সকালে আইনি প্রক্রিয়া শেষে পাইকগাছা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :