সুনামগঞ্জে জায়গা জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে স্কুলে পড়ুয়া ছেলেকে হত্যার ৬বছর পর এবার বৃদ্ধ বাবাকে পিঠিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। মৃত বদ্ধের নাম- বাতির আলী (৬০)। তিনি জেলার ছাতক উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের বনগাঁও গ্রামের বাসিন্দা।
গত বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) রাতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। কিন্তু এব্যাপারে এখন পর্যন্ত থানায় মামলা দায়ের করা হয়নি বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, জেলার ছাতক উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের বনগাঁও গ্রামের সিরাজুল ইসলামের সাথে জায়গা-জমি নিয়ে একই গ্রামের বাতির আলীর বিরোধ সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার জের ধরে গত ২০১৫সালের ২১শে নভেম্বর সকালে দুই পক্ষের মধ্যে দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষ হয়।
ওই সময় বাতির আলীর স্কুল পড়ুয়া ছেলে হেলাল উদ্দিন (১৫) এর মৃত্যু হয়। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে বাতির আলী বাদী হয়ে ২১জনকে আসামী করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। বর্তমানে মামলাটি আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।
এমতাবস্থায়, গত সোমবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় প্রতিপক্ষ সিরাজুল ইসলামের লোকজন লোহার রড দিয়ে পিঠিয়ে বৃদ্ধ বাতির আলীর হাত-পা ভেঙ্গে রাস্তায় ফেলে রেখে যায়। পরে, এলাকার লোকজন ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ছাতক
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বৃদ্ধ বাতির আলীর অবস্থা আশংকাজনক দেখে রাতেই সিলেট পাঠায়। পরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) রাতে তিনি মৃত্যু বরণ করেন।
এ ব্যাপারে মৃত বাতির আলীর ছেলে লাল মিয়া বলেন, আমার ছোট ভাই হেলাল হত্যা মামলা আপোষ না করার কারণে প্রতিপক্ষের লোকজন আমার বাবাকেও হত্যা করেছে। আমি এই বিচার চাই।
অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আমার বিরুদ্ধে বাতির আলীর ছেলে যে অভিযোগ করেছে তা সঠিক না, এসব ঘটনার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নাই।
ছাতক থানার ওসি শেখ নাজিম উদ্দিন বলেন, সংঘর্ষে আহত বৃদ্ধ বাতির আলী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে জানতে পেরেছি। কিন্তু, এ ব্যাপারে কেউ লিখিত অভিযোগ নিয়ে আসেনি। আসলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ফাহিম / একটিভ নিউজ
আপনার মতামত লিখুন :