×
  • ঢাকা
  • রবিবার, ২৬ মার্চ, ২০২৩, ১১ চৈত্র ১৪২৯
Active News 24

পাইকগাছায় ঝুঁকিপূর্ণ ওয়াপদার বেড়িবাঁধ;টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মানের দাবি


ইমদাদুল হক | খুলনা প্রতিনিধি প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০২১, ১১:৪৭ এএম পাইকগাছায় ঝুঁকিপূর্ণ ওয়াপদার বেড়িবাঁধ;টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মানের দাবি
সংগৃহীত

পাইকগাছায় অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে ১৫৮ কিমি ওয়াপদার বেড়িবাঁধ।  একদিকে, নদ-নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে বাড়ছে অতিরিক্ত পানি। অন্যদিকে, নির্মিত ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ। 

বর্তমানে এ দুই কারণে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে খুলনার দক্ষিণাঞ্চল পাইকগাছাবাসীর। এলাকার ৬টি পোল্ডারে ১৫৮ কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ রয়েছে। এ কারণে প্লাবনের আশঙ্কায় রয়েছেন স্থানীয়রা। 

দক্ষিণের এই জনপদের মানুষকে বাঁচাতে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি এবং প্রয়োজনে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন তারা। জানা যায়, পাইকগাছায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৬টি পোল্ডারে ২৫০ কিলোমিটার ওয়াপদা বাঁধ রয়েছে। এর মধ্যে ১৫৮ কিলোমিটার বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ।

বাঁধের বর্তমান পরিস্থিতি জানতে চাইলে পাইকগাছা উপসহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী রাজু আহম্মদ বলেন, উপজেলার ১০ / ১২ নম্বর পোল্ডারে ৪০ কিমি, ১৬ নম্বরে ৩৮ কিমি, ১৮ / ১৯ নম্বরে ২৫.৮ কিমি, ২৩ নম্বরে ২৬ কিমি, ২১ নম্বরে ১৬ কিমি এবং ২২ নম্বর পোল্ডারে ১৩ কিমি বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। সুন্দরবনের কোলঘেঁষা দক্ষিণ উপকূলবর্তী জনপদ পাইকগাছা। 

জলবায়ু পরিবর্তন ও ভৌগোলিক কারণে দুর্যোগের শিকার এ অঞ্চলের মানুষ। বিশেষ করে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বেড়িবাঁধ এলাকার মানুষের চরম বিপর্যয়ের মুখে ফেলে দিচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের ওয়াপদা বাঁধে নিয়মিত মাটির কাজ না হওয়ায় বাঁধের বেশির ভাগ ধসে গেছে। বর্তমানে নাজুক আকার ধারণ করেছে ষাটের দশকের এ বাঁধটি।


এর আগে ২০০৭ সালের সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় সিডর, ২০০৯ সালে সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড় আইলাসহ ফণী, বুলবুলের জলোচ্ছ্বাসে গদাইপুর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া, সোলাদানা ইউনিয়নের ভাঙ্গাহাড়িয়া, হরিখালী, পাটকেলপোতা, দ্বীপবেষ্টিত দেলুটি ইউনিয়নের গেওবুনিয়া, দারুণ মল্লিক, দেলুটি, কালীনগর, লতা ইউনিয়নের লতা বাজার, গড়ই খালী ইউনিয়নের খুদখালী ও শান্তায় ওয়াপদা বাঁধ ভেঙে এলাকা প্লাবিত হয়। নষ্ট হয় লাখ লাখ টাকার মৎস্য ও জমির ফসল। 

বন্যা, জলোচ্ছ্বাসের পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে জরুরি ভিত্তিতে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তিনি আরও বলেন, নদীর তলদেশ ভরাট হওয়ার সঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ড যদি ওয়াপদা বাঁধ উঁচু করা হতো, তাহলে পানি লোকালয়ের পোল্ডারে ঢুকতে পারত না।


এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের খুলনা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম বলেন, ওয়াপদা বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ পোল্ডারগুলোর তালিকা করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। অর্থপ্রাপ্তি সাপেক্ষে শুষ্ক মৌসুমে কাজ শুরু হবে বলে আশা করছি।

ফাহিম / একটিভ নিউজ