×
  • ঢাকা
  • রবিবার, ০২ এপ্রিল, ২০২৩, ১৮ চৈত্র ১৪২৯
Active News 24

শুঁটকী মৌসুমকে ঘিরে সমুদ্র যাত্রায় কয়েক হাজার জেলে


মনির হোসেন | মোংলা প্রতিনিধি প্রকাশিত: অক্টোবর ২৬, ২০২১, ০১:১২ পিএম শুঁটকী মৌসুমকে ঘিরে সমুদ্র যাত্রায় কয়েক হাজার জেলে

দুবলার চরে আলোর কোলে শুঁটকী মৌসুমকে ঘিরে সমুদ্র যাত্রা শুরু করেছে সুন্দরবন উপকূলের কয়েক হাজার জেলে। সোমবার ২৫ অক্টোবর সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সমুদ্রগামী প্রায় পাঁচ শতাধিক নৌকা মোংলার মেরিন সড়কের নদীর পাশে অবস্থান নিয়ে পাশ পারমিটের জন্য অপেক্ষা করছে। তাদের এ যাত্রা নির্বিঘ্নে করতে সুন্দরবনের অভ্যন্তরের নদী পথে কোস্টগার্ড-নৌ পুলিশ ও বনবিভাগের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। 


ইলিশ শিকারের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার দিনে মোংলার চিলা খাল ও পশুর নদীর পাড়ে অপেক্ষমান জেলেরা সোমবার ভোর থেকেই  সমুদ্র যাত্রার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। বনবিভাগ ও শুঁটকী ব্যবসায়ী সূত্র জানায়, মোংলা থেকে নদী পথে সুন্দরবন সংলগ্ন বঙ্গোসাগরের দুবলার চরাঞ্চালের দূরত্ব প্রায় ১২০ কিলোমিটার। প্রতি বছর অক্টোবর মাস থেকেই সাগর পাড়ে শুঁটকি মৌসুমকে ঘিরে  এখানে জড়ো হয়ে থাকে দেশের দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলে উপকূলের কয়েক হাজার জেলে। 


সাগরে মাছ শিকার আর শুটকী প্রক্রিয়াকরণের জন্য জেলেরা অস্থায়ী বসতি গড়ে তোলে দুবলা, মেহের আলী, আলোর কোল নারকেলবাড়ীয়াসহ সুন্দরবন সংলগ্ন সাগর পাড়ের বিভিন্ন চরে। আগামী বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত জেলে-মহাজন,শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের পদচারনায় মুখরিত হয়ে থাকবে দুর্গম এ চরাঞ্চল। 


আর এ শুঁটকী খাতে একদিকে বনবিভাগের কোটি কোটি টাকার সরকারী রাজস্ব আয় ও অন্যদিকে কয়েক লাখ লোকের জীবিকা নির্ভর করে সাগর চরের শুটকি ব্যবসার উপর। শুঁটকি মৌসুমকে টার্গেট করে ৩/৪ মাস আগে থেকেই ব্যাংক বা এনজিওর কাছ থেকে ঋণ নিয়ে জাল-নৌকা ঠিক করে সাগরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেন জেলেরা।

 

তবে এবার ইলিশ আহরণে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকায় নির্ধারিত সময়ের অপেক্ষায় থাকতে হয় শুঁটকী মৌসুমী জেলেদের। আর এ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার আগ মুর্হুতে রবিবার সকাল থেকেই উপকূলের বিভিন্ন এলাকার জেলেরা সাগরে যাওয়ার জন্য মোংলার মেরিন ড্রাইভ সড়কের নদীর পাড় চিলা খাল ও চিলা সংলগ্ন পশুর নদীর পাড়ে এসে জড়ো হয়।

ফাহিম / একটিভ নিউজ