×
  • ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৩, ১৫ চৈত্র ১৪২৯
Active News 24

মৎস্য আহরণের জন্য প্রস্তুত পাইকগাছার জেলেরা


ইমদাদুল হক | খুলনা প্রতিনিধি প্রকাশিত: অক্টোবর ২৮, ২০২১, ০৫:২৯ পিএম মৎস্য আহরণের জন্য প্রস্তুত পাইকগাছার জেলেরা

খুলনার পাইকগাছায় জীবনের ঝুঁকি ও ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে মৎস্য আহরণ করতে সুন্দরবনে যাচ্ছে জেলেরা। করোনায় মানবতার জীবন যাপন করতে থাকা জেলেরা সুন্দরবনে মৎস্য আহরণকে ঘিরে নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখছেন তারা। 

ঘুরে দাঁড়ানোর আশায় জীবনের মায়া ত্যাগ করে আগামী ১লা নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে দুবলার চরের শুটকি মৌসুম। তাই শেষ মুহুর্তের ব্যস্ততায় উপকূলের জেলে-মহাজনেরা। সাগরে যেতে যে যার মত প্রস্তুত করছেন জাল, দড়ি, নৌকা-ট্রলার। কেউ কেউ গড়ছেন নতুন ট্রলার, আবার কেউ পুরাতনটিকে মেরামত করে নিয়েছেন। প্রস্তুতি অনুযায়ী অনেকেই আগেভাগেই রওনা দিচ্ছেন যে যার মত।


উপজেলার বিভিন্ন নদী পলি জমে ভরাট হওয়ায় শুধুমাত্র সুন্দরবনের উপর নির্ভরশীল হওয়ার কারণে ও নানা প্রতিকূলতায় ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে পারেনি উপজেলার জেলে পরিবারগুলো। বরং দিন দিন তাদের অবস্থার অবনতি ঘটেছে। ক্রমবর্ধমান ক্ষতির মুখে ইতিমধ্যে পুঁজি ও জাল-নৌকা হারিয়ে পেশা হারিয়েছেন অনেকে। আবার অনেকে চড়াহারে মহাজনদের সুদের মাশুল গুণে এ পেশায় টিকে থাকার জন্য কঠোর সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। 

উপজেলার বোয়ালিয়া, হিতামপুর, মাহমুদকাটী, নোয়াকাটি, কপিলমুনি, কাটিপাড়া, রাড়ুলী, শাহাপাড়া, বাঁকাসহ বিভিন্ন গ্রামের জেলে পল্লী থেকে অন্তত আড়াই’শ ট্রলার সমুদ্রে মাছ ধরার জন্য যাত্রা শুরু করেছে।


জানা গেছে, ব্রিটিশ আমল থেকে চলে আসা শুটকি পল্লীর কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকে মগ বা সন্দীপ ও চট্রগ্রামের উপকূলীয় জেলেরা সুন্দরবনের চরে অস্থায়ী বাসা তৈরি করে মৎস্য আহরণ করতো। আশির দশক থেকে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, বরগুনা ও পটুয়াখালীর জেলেরা সুন্দরবন এলাকায় শুটকির জন্য বঙ্গোপসাগরের উপকূলীয় এলাকায় মৎস্য আহরণ শুরু করেন। 

সেই থেকে নানান প্রতিকূলতার মধ্যে জেলেরা মৎস্য আহরণ করে আসছে। ডাঙ্গায় বাঘ, জলে কুমির-হাঙ্গর, বনদস্যু-জলদস্যুর উৎপাত ও বনরক্ষীদের হয়রানির মধ্যেও তাদের পেশা টিকিয়ে রেখেছেন।

ফাহিম / একটিভ নিউজ