ওমান প্রবাসী কুমিল্লার জিসান মিয়া দুই বছর আগে বিয়ে করেন পাশের গ্রামের আয়শা বেগমকে। স্বামী জিসানের অনুপস্থিতিতে স্ত্রী আয়শা বেগম বিভিন্ন অন্য পুরুষদের সাথে প্রেম করে আসছেন অনেক দিন ধরেই। ওমান প্রবাসী স্বামী জিসান মিয়া একটি ভিডিও বার্তায় বলেন,”আমি ওমান প্রবাসী। দুই বছর আগে ছুটিতে দেশে আসলে এলাকার একজনের মাধ্যমে পাশের গ্রামের একটি মেয়েকে (আয়শা) বিয়ে করি! বিয়ে করার পর আমি আবার ওমানে চলে যাই।
আমি ওমানে চলে যাওয়ার পর আমার স্ত্রী মাত্র তিন বার আমার বাড়িতে গিয়েছিল! আমি ফোন দিয়ে তাকে বাড়িতে যেতে বললে বিভিন্ন কথা বলতো, মা সুস্থ্য হলে যাব, আবার কখনো বলতো তার ভাই বিদেশে গেলে সে আমাদের বাড়িতে যাবে। এর মধ্যে একদিন আয়শার সাথে কথা বলার সময় আয়শা আমাকে বলেছিল,আমি শুধু তোমার হবো! আর কারও নয় তবে একটা শর্ত আছে!আমি যা বলবো তাই শুনতে হবে! তুমি আমাদের পরিবারের একমাত্র জামাই! তাই আমার পরিবারকে তোমাকেই দেখতে হবে!
এরপর আয়শার বাবা বাড়ি করার কথা বলে আমার কাছ থেকে ২ লাখ টাকা নিয়েছে পরবর্তীতে আয়শার মায়ের চিকিৎসার জন্যও আমার কাছ থেকে টাকা নিয়েছে৷ ভিডিও বার্তায় জিসান আরও জানান, আসলে আমার একটি ভুল আছে! আমি আমার স্ত্রীকে অনেক বেশি ভালোবেসে ছিলাম। আমি আমার জীবনের থেকেও বেশি ভালোবেসে ছিলাম এবং কি আমার মা বাবার থেকেও বেশি ভালোবেসে ছিলাম! কথায় আছে মা বাবার থেকে বেশি আপন আর কেউ হয় না!সব থেকে আশ্চার্য লাগছে আমার তখন, যখন আমার স্ত্রী রাত ২ টা পর্যন্ত ইমুতে এক্টিব থাকতো কিন্তু আমি ফোন দিলেই বলতো ব্যস্ত আছি,কখনো বলতো ভাই ফোন দিয়েছে ইত্যাদি কথা বলে আমাকে অবহেলা করতো! তখনি আমার সন্দেহ হয়।
তাই পরবর্তীতে নিজের স্ত্রী’কে পরীক্ষা করার জন্য ভুয়া(রাজা) নামে একটি আইডি খুলে তার সাথে কথা বলি! সব থেকে অবাক লাগছে সে আমার ফাঁদে সহজেই পা দিয়ে দেয়, জড়িয়ে যায় পরকীয়া প্রেমে। আমার কাছে সকল প্রমাণ আছে। আমি যেকোন কিছুর মোকাবেলা করতে রাজি। আমার সাথে যা হয়েছে তা আর যেন কারও সাথে না হয় এই টুকুই চাই আমি।