নাটোরের গুরুদাসপুরে জাঁকজমক আয়োজনের মধ্য দিয়ে চলছিল বিয়ের অনুষ্ঠান। আত্মীয় ও স্বজনদের আনন্দ যেন ভর ধরছিল না। কিন্তু সে আনন্দ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বিয়ের আসর কিছুক্ষণের মধ্যেই ভেঙে যায়।
উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের যোগেন্দ্রনগর গ্রামে শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে হাজির হন গুরুদাসপুর সহকারী কমিশনার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান। এসময় প্রশাসনের গাড়ি দেখে মুহূর্তের মধ্যেই বদলে যায় কনে।
শুধু তাই নয় যে ইমাম কবুল পড়াবেন তিনিও পালান এসিল্যান্ডকে দেখে। এরপর কনের জায়গায় কনের ভাবিকে বসিয়ে শুরু হয় নাটক।
আরো পড়ুন: চাচির সাথে প্রেম, বাধা পেয়ে চাচাকে গলাকেটে হত্যা
এদিকে ওই কনের ভাবীকে কনে বলে পরিচয় দেয়ায় তাকে এবং কনের ভাইকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসা হয় উপজেলায়। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, কনে বিউটিকে সরিয়ে তার ভাবি শ্রাবণী কনে সেজে কনের জায়গায় বসেছিলেন।
জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের যোগেন্দ্রনগর গ্রামে দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া ১৬ বছরের এক ছাত্রীর বাল্যবিবাহ অনুষ্ঠিত হচ্ছে জানিয়ে ফোন করা হয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার তমাল হোসেনের কাছে।
আরো পড়ুন: বিয়ে করে মারা গেলেন বর, নববধূ হাসপাতালে
পরে তার খবরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান ওই বাল্যবিবাহের অনুষ্ঠানে গিয়ে কনেকে না পেয়ে কনে সেজে বসে থাকা কনের ভাবি ও তার ভাইকে আটক করে নিয়ে আসে। পরে তাদের ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।