চলন্ত ট্রেনে তিনজন ইন্টার্নি নারী চিকিৎসককে যৌন হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই তিন নারী চিকিৎসক বিনা টিকিটে ট্রেনে ওঠা এক এনজিও কর্মীর কাছে যৌন হয়রানির শিকার হন বলে জানা গেছে।
ঢাকা থেকে খুলনাগামী চিত্রা ট্রেনে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিম অঞ্চলের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. নুরুজ্জামান জানিয়েছেন, অভিযুক্ত আসামিকে আটকের পর তাকে ৪ মাসের জেল দেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন: এবার বিচারককে মারধর করল আ’লীগ নেতার ছেলে
তিনি তার ফেসবুক পোস্টে এ ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে জানান, 'একজন বিনা টিকেটের এনজিও কর্মীর এতটা দুসাহস দেখে আমি সহ অসংখ্য যাত্রী, সাংবাদিক, নিরাপত্তা কর্মী সকলেই হতবাক। আসামির চরম বিকৃত, গর্হিত আচরণ শুধু মাত্র ক্ষমা চেয়ে মাফ পাওয়া যায় না। গতরাতে ঢাকা থেকে খুলনাগামী চিত্রা ট্রেনে একাই ৩ সিট দখল করে নবীন চিকিৎসকদের সাথে গভীর রাতের এই অসভ্য আচরণের বিবরণ WhatsApp এ আমাকে লিখে জানাচ্ছিলেন এই তিন ডাক্তার, সেই সাথে তাদের ভয়ার্ত চিৎকার কামরার অন্য যাত্রীদেরকেও ক্ষুদ্ধ ও বিচলিত করে তোলে।
ঈশ্বরদী জিআরপির ওসি সাহেবের অনুরোধ পেয়ে আমি ট্রেনের ডিউটি পুলিশদেরক আসামিকে আটকের নির্দেশ দেই।'
'পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষিকাসহ তিন ছাত্রী ও পুলিশের সাক্ষ্য রেকর্ড করলেও আসামির আচরণ, পারিপার্শ্বিকতা ও মনস্তত্ব পুনরায় যাচাই করে আজ সকালে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে দণ্ডবিধির ৫০৯ ধারায় ৪ মাসের জেল দণ্ড প্রদান করে আসামিকে পাবনা জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভিকটিমদেরকে রাতেই নিরাপত্তাসহ খুলনায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য কর্তব্যরত পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।'
আরো পড়ুন: এবার ফ্লোরা বৌদির “এক ঝলকের” দৃশ্য ভাইরাল
মো. নুরুজ্জামান আরো লেখেন, 'ভিকটিমের লিখিত বক্তব্য এতটাই লজ্জাজনক তাতে আমি নিশ্চিত যে, ৩ সন্তানের জনক এই আসামি একজন বিকৃত রুচির মানুষ। ভিক্টিমেরা নিয়মিত মামলা করতে রাজী না হওয়ায় ও পরবর্তী বিড়ম্বনা এড়াতে, নিয়মিত মামলা না করে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বিচার চেয়েছেন। পাঠকদের কারো কাছে চলন্ত ট্রেনে এমন ঘটনা নিয়ে সন্দেহ হলেও এটা এক চরম সত্যের বিকট প্রকাশ মাত্র।'
প্রসঙ্গত, ভূক্তভোগী নারী ডাক্তারদের বাড়ি গাইবান্ধা।
অন্যদিকে ৩৮ বছর বয়সী ওই আসামির বাড়িও একই জেলায়। তবে তাদের কারোর নাম প্রকাশ করা হয়নি।