নরসিংদীর মনোহরদীতে দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে পাঁচ দিন আটকে রেখে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বুধবার রাতে মনোহরদী থানায় নির্যাতিতা ওই স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে প্রেমিক শাওন মিয়াসহ (২৫) চার সহযোগীর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুরে ওই ছাত্রীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ।
অভিযুক্ত শাওন মিয়া মনোহরদী উপজেলার চালাকচর ইউনিয়নের চেঙ্গাইন গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে। অন্য আসামীরা হলেন মো. আশিক (২৩), মো. মোবারক হোসেন (২২), মো. সুমন (২২) ও মোবারক হোসেন (২২)।
মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, নির্যাতিতা ওই স্কুলছাত্রীর সঙ্গে অভিযুক্ত শাওন মিয়ার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। দুই মাস আগে ওই ছাত্রীকে দিয়ে দুটি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে তাদের বিয়ে হয়ে গেছে জানিয়ে বিষয়টি তিন মাস গোপন রাখতে বলে প্রেমিক শাওন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে জোর করে বিয়ের আগে পাত্রের লিঙ্গ দেখল পাত্রী!
সম্প্রতি ওই ছাত্রী বিয়ের কাগজপত্র চাইলে টালবাহানা করতে থাকে শাওন। পরে ৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার শাওন উপজেলার বগাদীর একটি পার্কে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে ওই ছাত্রীকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পার্কে ঘুরে সন্ধ্যার পর মেয়েটিকে শাওন ও তার চার সহযোগী অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে টানা পাঁচ দিন আটকে রেখে শাওন ও তার সহযোগীরা পালাক্রমে ধর্ষণ করে।পরে গত মঙ্গলবার রাতে নির্যাতিতা ওই ছাত্রীকে চালাকচর বাজারের পাশে ফেলে রেখে চলে যায় তারা।
তিনি আরো বলেন, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।