রংপুরের বদরগঞ্জে জাহিদা আক্তার শিলামনি (২০) নামে এক নববধূকে শ্বাসরোধে হত্যার পর গলায় ওড়না পেচিয়ে লাশ ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া ওই নববধূর শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এদিকে এ ঘটনার পর শ্বশুড়বাড়ির লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন।
বদরগঞ্জ উপজেলা কুতুবপুর ইউনিয়নের সোনারপাড়া গ্রামে আজ শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) সকালের দিকে ঘটনাটি ঘটে।
শিলামনি পার্শ্ববর্তী পীরগঞ্জ উপজেলার শাহ্ আব্দুর রউফ সরকারি কলেজের অনার্স বাংলা বিষয়ে শিক্ষার্থী ছিল। তার বাবার বাড়ি পার্শ্ববর্তী মিঠাপুকুর উপজেলার বড়বালা ইউনিয়নের কেশকপুর গ্রামে।
আরো পড়ুন: এবার মিলল আরেক মিন্নির খোঁজ, ধ্বংস “প্রেমিকদের” পরিবার
নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানায়, প্রায় আড়াই মাস আগে পারিবারিকভাবে সোনারপাড়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম খোকা মেম্বারের পুত্র নাসিম সোনারের সঙ্গে শিলামনির বিয়ে হয়।
বাবার বাড়ি থেকে বিয়েতে চার ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হতদরিদ্র বাবা অলংকার তৈরি করে দিতে দেরি করেন। এ নিয়ে প্রায় সময় শিলামনিকে গালাগালসহ মানসিকভাবে নির্যাতন চালায় স্বামী ও শ্বশুড়বাড়ির লোকজন।
নিহতের পরিবারের ধারণা ওই বিরোধের জেরে গতকাল সকালে শিলামনিকে হত্যার পর তার লাশ ঘরের আড়ার সঙ্গে ওড়না দিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। পরে বিষয়টি প্রতিবেশীদের মধ্যে জানাজানি হলে স্বামী নাসিম সোনাসহ বাড়ির লোকজন ঘরে তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে যান।
আরো পড়ুন: জামালপুরে যুবতী নারীর কবরে ঢুকে যুবকের অসভ্যতামি
এদিকে ঘটনার পর নিহতের বাবা সাহাবুল ইসলাম মন্ডল বাদী হয়ে বদরগঞ্জ থানায় মামলা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
বদরগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) আরিফ আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
তবে ঘরে তালা ঝুলিয়ে পালিয়েছেন নিহতের শ্বশুড়বাড়ির লোকজন। এ ঘটনায় থানায় নিহতের পরিবারের পক্ষে মামলা নেওয়া হবে।