প্রবাস ফেরত ইউনুছ আলীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক ছিল ফাতেমার। এ সম্পর্কের পূর্ণতা দিতে প্রেমিকা ফাতেমা বিয়ের চাপ দেয়ায় তাকে খুন করার পরিকল্পনা করে ইউনুছ। এরপর ৪ মাস আগে প্রেমিকা ফাতেমাকে ডেকে এনে শারীরিক সম্পর্কের একপর্যায়ে গলাটিপে তাকে খুন করে ইউনুছ।
সেই হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে পাশের নির্মাণাধীন ঘরের ভিটি খুঁড়ে লাশ বালিচাপা দেয় ঘাতক ইউনুছ আলী নিজেই। নির্মাণাধীন বাড়ির মালিককে ঘরের ভিটি কংক্রিটের ঢালাই করার জন্য অর্থ দেয়ারও প্রস্তাব দেয় ঘাতক ইউনুছ আলী। তবে দুই দিন পরে ওই নির্মাণাধীন ঘর থেকে লাশের পচা গন্ধ বেরিয়ে পড়লে খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
আরো পড়ুন: জামালপুরে যুবতী নারীর কবরে ঢুকে যুবকের অসভ্যতামি
চাঞ্চল্যকর ওই হত্যা মামলার তদন্তভার পেয়ে মাত্র ৪৩ দিনের মধ্যে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পিবিআই নারায়ণগঞ্জ।
ঘাতক প্রেমিক ইউনুছ আলীকে গ্রেফতার করা হয়েছে সিলেটের জৈন্তাপুর ভারতীয় সীমান্তবর্তী পাহাড়ি এলাকা থেকে।
নারায়ণগঞ্জের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার মো. মনিরুল ইসলাম জানান, নিহত ফাতেমা আক্তার আড়াইহাজার থানার গহরদী এলাকার বিল্লাল হোসেনের মেয়ে। তিনি মানিকপুর এলাকায় মামা ইলিয়াস মোল্লার বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। ঘাতক ইউনুছ আলী আড়াইহাজারের বিশনন্দী এলাকার আবদুলের পুত্র।
আরো পড়ুন: রাজধানীতে এক নারীর দুই স্বামী, গর্ভের সন্তান কার তাই নিয়ে মহাযুদ্ধ
মো. মনিরুল ইসলাম আরো জানান, হত্যার পর ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল সেট, সিম, জাতীয় পরিচয়পত্র, গলার হার, কানের দুল, হাতব্যাগ, ওড়না গোপালদী বাজার গাজীপুরা ব্রিজ থেকে হাড়িদোয়া নদীতে ফেলে দেয় বলে আসামি জানায়। উল্লেখিত স্থানে অভিযান চালিয়ে ওই মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা করা হয় কিন্তু সম্ভব হয়নি। ১০ ডিসেম্বর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে ঘাতক ইউনুছ।
পরে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।