প্রেমের ফাঁদে ফেলে কৌশলে বাসায় নিয়ে চাঁদা আদায় করত নওগাঁর একটি চক্র। এবার সে চক্রের ৭ প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নওগাঁ সদর মডেল থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রবিবার (১৩ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টায় পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান মিয়া এই তথ্য জানান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলাধীন সরস্বতীপুর পুকুরপাড়া গ্রামের মো. বুলুর কন্যা বুলবুলি (২৩), নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলাধীন মধু গুড়নই গ্রামের ইউসুফ শেখ-এর ছেলে মো. বাহাদুর শেখ (৩৮), তার স্ত্রী মোছা. মুক্তা (৩৮), চকবাড়িয়া বাউস্থাপাড়া গ্রামের নাসির উদ্দিনের ছেলে মো. ইদ্রিস আলী (৪৫), কাশিয়াপাড়া গ্রামের মো. আজিজুল হাকিমের ছেলে মো. আল আমিন (২৫), নবারের তাম্বু গ্রামের নুরুল ইসলামের স্ত্রী মোছা. মুন্নি বিবি (২৮) এবং সদর উপজেলার বাচাড়ীগ্রাম সোনার পাড়ার মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে মো. এনামুল হককে (৩৪)।
আরো পড়ুন: স্বামীর পুরুষত্ব নিয়ে সন্দেহ স্ত্রীর, এরপর যে কাণ্ড করলেন তরুণ!
ঘটনার বিষয়ে পুলিশ সুপার জানান, শহরের বাঙ্গাবাড়িয়া মহল্লায় মৃত হাফেজ উদ্দিন কবিরাজের ছেলে টিটুর বাসায় ভাড়া থেকে আসামি মোছা. বুলবুলি বেগমের (২৩) মাধ্যমে বিভিন্ন লোকজনকে মোবাইল ফোনে কথা বলে প্রেমের ফাঁদে ফেলে কৌশলে বাসায় নিয়ে এসে আটক এবং বিবস্ত্র করে সাংবাদিক পরিচয়ে ছবি তোলে। ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে চাঁদা আদায় করে থাকে।
ঠিক এভাবেই গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে আত্রাই থানার বান্দাইখাড়া বাজার এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে মো. নাসির উদ্দিনকে ওই বাড়িতে ডেকে নেয় এবং ঘরে আটক করে প্রতারকরা।
এরপর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করে এবং হত্যার হুমকী প্রদান করা হয় নাসির উদ্দিনকে। এসময় তার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়।
আরো পড়ুন: যে কারণে কেদে বুক ভাসাচ্ছেন মিয়া খলিফা
ঘটনার বিষয়ে পুলিশ সুপার মো. আব্দুল মান্নান মিয়া জানতে পারলে তার নির্দেশে পুলিশ ফোর্স বিকাল সাড়ে ৩টায় ওই বাড়িতে অভিযান চালিয়ে প্রতারকদেরকে গ্রেপ্তার করে।