গতকাল রবিবার রাতে দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় একই রাত্রে দুইটি গ্রমে কিশোর-কিশোরীর আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে।
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় একই রাতে ভিন্ন দুটি গ্রামে কিশোর-কিশোরীর আত্মহত্যার খবর পাওয়া গেছে। শোবার ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে রেজিয়া আরফীন রিয়া (১৩) নামে কিশোরী ও অনিক চন্দ্র রায় (১৭) নামে কিশোর বটগাছে।
রিয়ার বাবার নাম মো. রাজীব আরফীন। তিনি একজন পল্লী চিকিৎসক। বসবাস করেন উপজেলার আউলিয়া পুকুর ইউনিয়নের ছোট বাউল গ্রামের চেয়ারম্যান পাড়ায়। রিয়া চিরিরবন্দর সরকারি মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণি ছাত্রী ছিল।
অনিক উপজেলার অমরপুর ইউনিয়নের রাজাপুর এলাকার বাসিন্দা। সে একটি ইটভাটায় কাজ করতো। তার বাবার নাম মানিক চন্দ্র রায়।
রেজিয়া পরিবার জানায়, গতকাল রাতে নিজের শোবার ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে সে। অনিকের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে যে, গতকাল সন্ধ্যা ৭টার দিকে ইটভাটায় কাজ করতে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায় সে। রাতের কোনো এক সময় গ্রামের বটগাছে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে।
আরো পড়ুনঃ যেভাবে কোপালো কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে!
কী এমন কারণে এই কিশোর-কিশোরী আত্মহত্যা করেছে, দু'পরিবারের কোনো সদস্য তা বলতে এখনো পারেনি।
চিরিরবন্দর থানা পুলিশ ময়নাতন্তের জন্য দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাদের লাশ উদ্ধার করে পাঠায়।
আরো পড়ুনঃ নিজের স্ত্রীর গোপনাঙ্গে রড দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যাচেষ্টা স্বামীর
চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার বলেছেন, ‘পৃথক দুটি ঘটনায় লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দুই পরিবার থেকে কারও অভিযোগ না থাকায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।