চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে পরকীয়ার কারণে খুন হন রফিকুল ইসলাম (৪৫) নামের এক ব্যক্তি। সেই ঘটনায় রফিকুলের স্ত্রী নিজের বাদী হয়ে মামলা করেন। কিন্তু মামলার দীর্ঘ তদন্তে বের হয় সম্পূর্ণ ভিন্ন ঘটনা। মামলার বাদীই হয়ে যায় আসামি।
এ ঘটনায় রবিবার নাটোর জেলার সিংড়া আনন্দনগর এলাকায় অভিযান চালিয়ে রফিকুলের স্ত্রী উম্মি ছালমাকে আটক করে পিবিআই। তাকে সীতাকুন্ড থানায় হস্তান্তর করা হয়। এরপর সোমবার সীতাকুন্ড থানায় মামলাটি দায়ের করা হয় (মামলা নম্বর- ৪৬)।
আরো পড়ুন: পুত্রবধূর সাথে “বিশেষ মুহূর্তে” ধরা শ্বশুড়, পিটিয়ে মেরেই ফেললেন শাশুড়ি
ঘটনার বিষয়ে পিবিআই চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান বলেন, রফিক হত্যা মামলায় তার স্ত্রীর সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তার দায়ের করা মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। নতুন করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তিনি জানান, এর আগে রফিকুল ইসলামের স্ত্রী উম্মি ছালমা (৩০) মরদেহটি তার স্বামীর বলে শনাক্ত করার পর উম্মি ছালমা বাদী হয়ে সীতাকুন্ড থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আরো পড়ুনঃ দিনাজপুরে এক সঙ্গে কিশোর-কিশোরীর আত্মহত্যা
এদিকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই’র এসআই মো. কামাল আব্বাস বলেন, ২০১৯ সালের ৪ ডিসেম্বর সকালে সীতাকুন্ড বিএম গেইট এলাকা থেকে রফিকুল ইসলামের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রফিকুল ইসলামের স্ত্রী উম্মি ছালমা বাদী হয়ে সীতাকুন্ড থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তিনি জানান, সীতাকুন্ড থানা পুলিশ আট মাস তদন্ত করেও এ মামলার কোনো ক্লু বের করতে পারেনি। পরে থানা পুলিশের আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলাটি পিবিআই’র কাছে স্থানাস্তর হয়।