গতকাল শুক্রবার দুপুরে মারা গেছেন সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নারী ভাইস চেয়ারম্যান সেলিনা ইয়াসমীন। মৃত্যুর আগে সেলিনা ইয়াসমীন তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন, যা নিয়ে জেলাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় যে, নারী ভাইস চেয়ারম্যান সেলিনা ইয়াসমীন গত ১৫ নভেম্বরের এক স্ট্যাটাসে নিজের শারীরিক অবস্থা খারাপ বলে জানান। স্ট্যাটাসটিতে সেলিনা ইয়াসমীন সকলের কাছে ক্ষমাও চেয়েছিলেন। এরপর তিনি গত ৫ ডিসেম্বর আরেকটি স্ট্যাটাস দেন, যাতে তিনি তার পরিণতির জন্য তিনজনকে দায়ী করেন। তার মেয়ে সময় মতো এ তিনজনের পরিচয় প্রকাশ করবেন বলে স্ট্যাটাসটিতে সেলিনা ইয়াসমীন জানান।
গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করার পর ভাইস চেয়ারম্যান সেলিনা ইয়াসমীনের স্ট্যাটাসটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
এ নারী ভাইস চেয়ারম্যান সেলিনা ইয়াসমীনের মৃত্যুর ঘটনায় দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন অনেকেই।
আরো পড়ুন: নিষেধ না মেনে চা খাওয়ায় স্বামীর সাথে অভিমান করে স্ত্রীর আত্মহত্যা
গত ৫ ডিসেম্বর দেওয়া ফেসবুক স্ট্যাটাসে নারী ভাইস চেয়ারম্যান সেলিনা ইয়াসমীন লেখেন, ‘আমি বারবার বলছি, আমি বিভিন্নভাবে মানুষের চাপের মুখে আছি। আমিও একজন মানুষ। আমারও পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। যদি আমার শারীরিক, মানসিক ও অর্থনৈতিক অবস্থার কোনো ক্ষতি হয়, তার জন্য মাত্র তিনজন মানুষ দায়ী থাকবে। সব প্রমাণ আমার মেয়ের কাছে আছে। যথোপযুক্ত সময়ে আমার মেয়ে তা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবে।
মনে রাখবেন শুধু তিনজন মানুষ এই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। আমার ও আমার মেয়ের জন্য সকলে দোয়া করবেন।’
আরো পড়ুন: ডিএনসির অভিযানে ৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার, আটক-২
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম নারী ভাইস চেয়ারম্যান সেলিনা ইয়াসমীনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সেলিনা ইয়াসমীন ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শুক্রবার দুপুরে তিনি ইন্তেকাল করেছেন।
প্রয়াত নারী ভাইস চেয়ারম্যানের চাচাতো ভাই ফুজায়েল ইসলাম মুহিত বলেছেন, ‘আসলে আপু ওই পোস্ট দেওয়ার পরে অসুস্থ হয়ে পড়েন, তিনি স্ট্রোকও করেন। আলাপ করার মতো অবস্থা ওনার ছিল না। তাই বিশেষ কিছু জানি না।