বগুড়ার নন্দীগ্রামে আলুর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। এবার বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন ও পৌরসভার বিভিন্ন মাঠে আলুর চাষ করা হয়েছে। পৌরসভার বিভিন্ন মাঠে আলুর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আলুর মাঠ এখন সবুজে ভরে উঠেছে। মাঠের চারদিকে সবুজের সমারোহ।
এবছর আবহাওয়া ভালো থাকায় এখন পর্যন্ত কোন রোগ-বালাইয়ের আক্রমন দেখা দেয়নি ।এবছরের প্রথম থেকেই আলুর বিজের দাম চওড়া, আলু চাষীরা বাজার থেকে চওড়া দামে বীজ কিনে রোপন করেছে।
ভালো দামের আশায় চাষীরা এখন ব্যস্ত দিন পার করছেন আলুর জমিতে। জানাযায়,উপজেলা ও পৌরসভার বিভিন্ন মাঠে কৃষকেরা জমিতে আলু চাষ করছেন, ঐ জমিতে যে সকল জাতের আলু চাষ করা হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, কার্ডিনাল, এ্যাস্টিক, ডায়মন্ড, রুমানা , পাকড়ি। কৃষকরা এ সব জাতের মধ্যে এ্যাস্টিক, ডায়মন্ড পাকড়ি জাতের আলু বেশী চাষ করছে, তবে বীজ সংকট ও বিজের দাম চওড়া। তবুও প্রতি বছরের তুলনায় এ বছর আলু চাষ বেশি হয়েছে।
আরো পড়ন:ফেসবুকের মাধ্যমে হারানো ছেলেকে পেলো মা
গত বছর উপজেলা কৃষি অফিস থেকে ২৪শ ২৫ হেক্টর আলু চাষের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল, এবছর আলুর লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে। আলু চাষী,জয়নাল, বাছেদ, মাসুদ, হাবিবুর, মুসা,বুলু , মামুন, এই প্রতিনিধিকে জানায়, গত বছর আলুর দাম কম ছিল এ বছরের শুরু থেকেই আলুর দাম অনেক বেশি, বর্তমানে বিভিন্ন হাট বাজারে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি করে আলু বিক্রয় হচ্ছে। যাতে আমরা আলু বিক্রয় করে লাভের মুখ দেখতে পাবো এই আশায় বুক বেঁধে আছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আদনান বাবু বলেন।
গত বছরের তুলনায় এ বছর লক্ষ্য মাত্রার চেয়েও অনেক বেশি কৃষকরা আলু চাষ করেছে, কৃষি অফিস থেকে কৃষকদের বিভিন্ন রোগ-বালাই সম্পর্কে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে আশা করি এবছর আলুর বাম্পার ফলন হবে।