রোববার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টার ব্রাহ্মণবাড়িয়া উপজেলার যাত্রাপুর গ্রামে আয়েত আলী শাহ মাজারের টাকা ভাগাভাগির ঘটনায় প্রতিপক্ষের বল্লমের আঘাতে নুরুল ইসলাম (৫০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নিহত নুরুল ইসলাম আশুগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের যাত্রাপুর গ্রামের শহিদ মিয়ার ছেলে।
নিহতের ভাই আজিজুল ইসলাম বলেনছেন, পীর আয়েতআলী শাহ মাজারের খাদেম আলামীন শাহ্ প্রতি বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে গানবাজনার মজমায় বসেন। এসব কাজে তার চাচাত ভাই নুরুল ইসলাম বাধা দিয়ে আসছিল। এ ঘটনার সূত্র ধরে আজ সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে ওই মাজারের খাদেম আলামীন শাহ্ চর চারতলা তার গ্রামের লোকজন নিয়ে নুরুল ইসলামের ওপর হামলা করেন। এসময় হামলাকারীরা তার ভাই নুরুল ইসলামের বুকে বল্লম দিয়ে আঘাত করলে গুরুতর আহত হন তিনি।
পরে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্মরত চিকিৎসক ডা. এবিএম মুছা চৌধুরী তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চিকিৎসক ডা. এবিএম মুছা জানান যে, বল্লমের আঘাতে ফুসফুস ও হৃদপিণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ভেতরে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে তার মৃত্যু হতে পারে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্যে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরো পড়ুন: মনোনয়ন না পেয়ে ওসিকে পেটাল আ’লীগ নেতারা
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাহমুদ বলেন, মাজারে অর্জিত টাকার ভাগভাটোয়ারা নিয়ে খাদেম আলামীন শাহ্ এর সঙ্গে নুরুল ইসলামের বিরোধ চলছিল। এ বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের বল্লমের আঘাতে নিহত হন নূরুল ইসলাম। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরো পড়ুন: বাবার শাসনে অভিমান করে শিশুর অত্মহত্যা
তিনি আরো বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তিন নারীসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে। অভিযোগ সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।