ঝালকাঠির রাজাপুরের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিলন মাহামুদ বাচ্চুর নেতৃত্বে মধ্যরাতে অন্যের জমি দখল করে ঘর উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়াগেছে।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে প্রায় একশত লোক দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে এ দখলের ঘটনা ঘটায় ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝালকাঠি প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগ নেতা মিলন মাহমুদ বাচ্চুর কবল থেকে দখল হওয়া জমি উদ্ধারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে সংবাদ সম্মেলন করেন রাজাপুর উপজেলা সদরের হাফেজ মো. মাহাবুবুর রহমান।
আরো পড়ন:ফের বাড়লো স্বর্ণের দাম
এ সময় জমির অংশিদার আনোয়ার হোসেন, মো. সগির হোসেন খান, আজিজ খান, কবির খান ও মোস্তফা কামাল উপস্থিত ছিলেন । লিখিত বক্তব্যে হাফেজ মাহবুবুর রহমান বলেন, রাজাপুর মৌজার ৭৯৮ নং এসএ খতিয়ানের ৪৭০৬ ও ৪৭০৭ দাগের ৪৪ শতাংশ জমি নিয়ে বিরোধ চলায় ২০১৬ সালে রাজাপুর সহকারী জজ আদালতে মামলা করা হয়।
৪ বছর মামলা চলার পরে চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর হাফেজ মো. মাহাবুবুর রহমানদের পক্ষে আদালত রায় দেয়।
এই রায়ের পরে বিবাদি পক্ষ মনির হোসেন ও মিলন মাহমুদ বাচ্চুর নেতৃত্বে ২৯ ডিসেম্বর মধ্যরাতে প্রায় দেড় শতাধিক লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়ে জমি দখল করে ধান কেটে নিয়ে যায় এবং টিনকাঠ দিয়ে ঘর উত্তোলন করে ।
এসময় তারা কাটাতার দিয়ে ৪৪ শতাংশ জমিতে ব্যারিকেট দেয়। ঘটনা টের পেয়ে বাঁধা দিতে আসলে মাহাবুবুর রহমানদের প্রাণ নাশের হুমকী দেয়া হয়।
আরো পড়ন:নামমাত্র শর্তে যেভাবে পাবেন ৩ লাখ টাকা ঋণ
এমনকি তারা থানায় এসে অভিযোগ না করতে পারে সে জন্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিলন মাহামুদ বাচ্চুর লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পাহাড়া বসায়।
অস্ত্রসস্ত্রের ভয়ে জীবননাশের আশংকায় তারা দখল কাজ প্রতিরেধে ব্যর্থ হয় । পরের দিন মো. মাহাবুবুর রহমান ও তার স্বজনরা রাজাপুর থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। পুলিশ গিয়ে তৎক্ষনিক ঘর নির্মান কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিলেও পুলিশ চলে যাওয়ার পরপরই আবার কাজ শুরু করে । বর্তমানে বাচ্চু মৃধার লোকজন ওই জমিতে নির্মিত ঘরের মধ্যে তাস খেলার আড্ডা বসিয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয় ।
মাহাবুবুর রহমান বলেন, আমাদের জমিতে এখন আমরা প্রবেশ করতে পারছি না, চারিদিকে কাটা তাঁর দিয়ে ব্যারিকেট দেয়া হয়েছে । জোড়পূর্বক ঢুকতে গেলে আমাদের খুন করে ফেলতে পারে।
এব্যাপারে রাজাপুরের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিলন মাহমুদ বাচ্চু বলেন,‘ আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ। জমি দখলের বিষয় সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না।
আরো পড়ন:সংকটে চালের মজুদ,দাম হচ্ছে দ্বিগুণ!
রাজাপুর থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে দুপক্ষকে সংঘাত এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছি এবং সব ধরনের নির্মান কাজ বন্ধ করে দিয়েছি।