যশোরের বেনাপোল দুর্গাপুর গ্রামে আল আমিন নামের এক যুবককে গলায় তার পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তার নিজ বাড়ির সামনে ফেলে রেখে যায় দূর্বৃত্তরা।এই হত্যাকান্ডে সন্দেহজনক ভাবে এক দম্পতিকে আটক করেছে যশোর ডিবি পুলিশ।
নিজ বাড়ির সামনে হত্যাকন্ডের পর এলাকায় লোক মুখে নানান ধরনের গুঞ্জন ছড়ায়, হত্যাকান্ডের তিন দিন পার হলেও আসল রহস্য সামনে আসেনি এখনো।
এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে বেনাপোলের দুর্গাপুর গ্রামের জহুরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী কামরুন্নাহার কটিলাকে আটক করেছে যশোর ডিবি পুলিশ।
এলাকার লোক মুখে শোনা যাচ্ছে জহুরুলের স্ত্রীর সাথে আল আমিন এর পরকীয়া সম্পর্ক ছিল।কামরুন্নাহার- জহুরুল দম্পত্তির দশ বছরের ছেলে জাকারিয়ার কাছে জানতে চাইলে সে বলে, আল আমিন তাদের বাড়িতে মাঝে মধ্যে যেত এবং তাদের খাওয়া দাওয়া সম্পর্কে খোজ খবর নিতো।
এছাড়া মাঝে মধ্যে আমাকে স্কুলেও নিয়ে যেত তার সাইকেলে করে এবং তার মায়ের সাথে প্রায়ই ফোনে কথা বলতো আল আমিন।
আটককৃত জুহুরুলের বড় স্ত্রী শাহানারা বেগম বলেন, তার স্বামী ও তার ছোট স্ত্রী কামরুন্নাহার এর বয়সের অনেক তফাৎ ছিল । আমি অন্য বাসায় থাকতাম, তবে মানুষের মুখে শুনেছি আল আমিন ও কামরুন্নাহারের পরকীয়া প্রেমের গল্প।
যশোর ডিবি পুলিশ জানান, আমরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জহুরুল-কামরুন্নাহার দম্পত্তিকে মঙ্গলবার বেনাপোলের দুর্গাপুর রোডের একটি ইজিবাইক চার্জের গ্যারেজ থেকে নিয়ে এসেছি।
উল্লেখ্য, গত রবিবার রাতে কোন এক সময় আল আমিনকে গলায় তার পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে নৃশংশভাবে হত্যা করে তার বাড়ির সামনে গাছের নিচে ফেলে যায়।
পরের দিন সোমবার সকালে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ সদস্যরা লাশটি উদ্ধার করে।