হুমায়ূন কবির ওরফে নাসির উদ্দিন (৫২) নামের বরগুনার বেতাগীতে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজেকে হত্যা ও গুমের নাটক করেন উপজেলার দেশান্তরকাঠী গ্রামের এই ব্যক্তি। তাকে হত্যা ও গুম করার মিথ্যা মামলায় দীর্ঘদিন কারাভোগ করেন আসামিরা। হত্যা মামলার দুই বছর পাঁচ মাস ১৮ দিন পর তাকে বাজারে ঘুরতে দেখা স্থানীয়রা। পরে তাকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে জনগণ।
জানা গেছে যে, হুমায়ূন কবির ওরফে নাসির উদ্দিনের স্ত্রী রুনু বেগম (৩০) স্থানীয় কয়েক জনের নামে বরগুনায় মানব পাচার অপরাধ ট্রাইবুনালে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় উল্লেখ করা হয়, ২০১৮ সালের ১১ জুলাই হুমায়ূন কবির ওরফে নাসির উদ্দিন আসামিদের ভয়ে পার্শ্ববর্তী বজলু মৃধার বাড়িতে রাতযাপনের জন্য বাড়ি থেকে বের হন। দেশীয় অস্ত্র দেখিয়ে রাত ১১টায় দেশান্তরকাঠীর রাস্তা থেকে তাকে অপহরণ করে নিয়ে খুন করে আসামিরা।
আরো জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে পালিয়ে থাকার পর মঙ্গলবার পার্শ্ববর্তী মির্জাগঞ্জ উপজেলার চাকরখালী বাজারে হুমায়ূন কবির ওরফে নাসির উদ্দিনকে হঠাৎ দেখতে পাওয়া যায়। স্থানীয়রা তাকে চিনতে পেরে আটক করে রাখে। পরে বেতাগী থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করে।
আরো পড়ুন: ঝরনায় পা পিছলে দুই পর্যটকের মৃত্যু
মিথ্যা মামলার আসামি মো. জাকির হোসেন বলেছেন, 'আমাদেরকে ফাঁসানোর জন্য অপহরণের নাটক সাজিয়ে মিথ্যা মামলা করা হয়। দুই বছর সে পলাতক থেকে আমাদেরকে হয়রানি করেছে। এই মিথ্যা মামলায় জেলে যেতে হয়েছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
'
আরো পড়ুন: ঝরনায় পা পিছলে দুই পর্যটকের মৃত্যু
বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু এর সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, 'মামলাটি 'সাজানো নাটক' ছিলো। তবে ওই সময় অনেক চেষ্টা করেও হুমায়ূন কবিরকে খুঁজে না পাওয়ায় মামলাটি আমলে নেওয়া হয়। তাকে উদ্ধার করে বরগুনা জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।'
বাঘারপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ উদ্দীন বলেছেন, অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। মামলা রেকর্ড করা হচ্ছে।