নেত্রকোনা পূর্বধলা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল বারীর বিরুদ্ধে অবৈধ নিয়োগ প্রাপ্ত শিক্ষকদের অনৈতিকভাবে বেতনের সুপারিশ করে জেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক কর্মকর্তা বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করার অভিযোগ উঠেছে।
এ নিয়ে এলাকাবাসীর পক্ষে রাষ্ট্রের বিভিন্ন কার্যালয়ে অভিযোগ করে কোন প্রতিকার না পেয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান ও উপ-পরিচালক বরাবর সঠিক তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্যও আবেদন করা হয়। অভিযোগের কপি দূর্নীতি দমন কমিশনেও প্রেরণ করা হয়েছে।
জানা যায়, এ উপজেলায় মোট ৮ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৭ টি পদে অবৈধ পন্থায় নিয়োগ দিয়ে তাদের বেতন প্রদানের সুপারিশ করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল বারী।
আরো পড়ন:ঝরনায় পা পিছলে দুই পর্যটকের মৃত্যু
বিদ্যালয় সমূহ হল পুর্বধলা উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩ টি, টিকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ২টি ,ঢেওটুকুন ২ টি, খলিশাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩ টি, রামকান্দা ও জারিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ১ টি করে, ইচুলিয়া এবং কাপাশিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ৩ টি করে মোট ৮টি বিদ্যালয়ে ১৭টি বিভিন্ন পদে নিয়োগ প্রদান করে তাদের বেতনের সুপারিশ করা হয়।
শিক্ষা বোর্ডের তথ্য মতে, এ সব শিক্ষকদের বেতন প্রদানের আগে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে মিনিস্ট্রি অডিট ও বেনভিট বিলের তালিকায় তাদের নাম থাকার কথা। যথারীতি এসব তালিকায় তাদের নাম পাওয়া যায় নাই।
এমনকি বিদ্যালয়ের ম্যানিজিং কমিটি অস্তিত্ব না থাকলেও অদৃশ্য কারনে এ কর্মকর্তা এসব বিষয়ের সঠিক তদন্ত না করেই শিক্ষকদের বেতনের সুপারিশ করেন।
অভিযোগকারীদের দেয়া তথ্যমতে, শুধুমাত্র খলিশাউড় উচ্চ বিদ্যালয়েই ৪ টি পদে নিয়োগ প্রদান করা হয় যা সম্পূর্ণ অবৈধ।
আরো পড়ন:প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজেকে হত্যা ও গুমের নাটক ৮৯৮ দিন পর ফেরৎ এই ব্যক্তি
অনিয়মের ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুল গফুর জানান, পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া ও বেতন প্রদানের আগে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সরেজমিনে তদন্ত করে থাকে। যদি কোন অনিয়ম হয়ে থাকে তবে আমরা উর্ধতন কর্মকর্তাকে বিষয়টি অভিহিত করব। আর বিদ্যালয়ের এডপ্ট কমিটি নিয়োগ দিতে পারে না বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
ময়মনসিংহ মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের ডি.ডি আনিসুল ইসলাম অভিযোগের ব্যাপারে বলেন, অভিযোগটি এখনো আমি দেখি নাই।
তবে কোন শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বা বেতন প্রক্রিয়ায় কোন তথ্য গোপন করলে তা খতিয়ে ব্যবস্হা নেবেন বলে জানান তিনি।
আরো পড়ন:যশোরের বেনাপোলে আল আমিন হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে এক দম্পতি আটক
ভূয়া তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল বারীর কাছে নিয়োগ প্রক্রিয়ার অনিয়মের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিয়োগ বিধিমালার সকল নিয়ম কানুন মেনে সরেজমিনে তদন্ত করে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে।এতে অনিয়মের কিছু দেখি না।