ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে শেয়ালের কামড়ে নারী, পুরুষ ও শিশুসহ অন্তত অর্ধশত মানুষ আহত হয়েছে। শনিবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের তাজপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর আহতদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী ও শিশু রয়েছে।
শেয়ালের কামড়ে আহত গোলাপ মিয়া জানিয়েছে, সন্ধ্যার দিকে দুইটি শেয়াল গ্রামে প্রবেশ করে হঠাৎ করে নারী-পুরুষ শিশু যাকেই সামনে পায় তাকেই কামড়াতে থাকে। এসময় গ্রামের মানুষ দিগ্বিদিক ছুটতে থাকে। কিন্ত অনেকের শেষরক্ষা হয়নি।
এরই মধ্যে গ্রামের অন্তত অর্ধশতাধিক মানুষকে কামড়িয়ে আহত করে খ্যাপাটে শেয়ালেরা। এসময় একটি শেয়ালকে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী পিটিয়ে হত্যা করলেও অপরটি জঙ্গলে পালিয়ে যায়।
পরে শেয়ালের কামড়ে আহতদের স্বজনেরা উদ্ধার করে দ্রুত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। আহতদের মধ্যে ৩২ জনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। আহতরা সবাই একই গ্রামের বাসিন্দা।
এরা হলেন মো. গোলাপ মিয়া (৩০), মামুন (২৪), সুহেদা (৩৫), মাইনুদ্দিন (২৫), ফৌজিয়া আক্তার (৬), হেলাল উদ্দিন (৫৫), লাকি আক্তার (২৫), শান্তা (১৮), আশরাফুল মিয়া (১৫), কাদির মিয়া (৩০), জুতি (১২), জজ মিয়া (৬০), রাসেদা (৩০), নিলুফা বেগম (৩৫), মামুন (২০),কাদির (৩০), আশরাফুল ইসলাম (১২), নায়েব আলী (৩৫), সেফালী (১৪), ওয়াসিম (১৬), রাজু মিয়া (১৫), আকরাম (১৬), হারুন মিয়া (৫০), বাদশা মিয়া (৩০), হৃদয় (১৮), সাইদুর রহমান (৫০), তানিয়া বেগম (২৭), সামসেদ (৩৫) ও কুদরত মিয়া (৩৪) মাতব মিয়া (৪০), ইয়ার হোসেন (২২), হোসেন মিয়া (২৫)।
আরো পড়ুন: নার্সের কাণ্ড, করোনা রোগীর সঙ্গে যৌনতা, দেখুন ভিডিও
তাজপুর গ্রামের প্রত্যক্ষদর্শী ও রোগীর স্বজন হারুন মিয়া জানিয়েছে, আমার ভাই আর ভাতিজি বাড়ির উঠানে দাঁড়ানো ছিল।
হঠাৎ একটি শেয়াল আমার ভাই ও ভাতিজিকে কামড়িয়ে পালিয়ে যায়। এর মধ্যে গোলাপ মিয়া একটি শেয়ালকে জাপটে ধরলে বাকি সবাই সেটিকে বেদম মার দেয়। এতে শেয়ালটি মারা যায়। অপর শেয়ালটি পালিয়ে যায়।
অপর প্রত্যক্ষদর্শী আবু সাঈদ জানিয়েছে, গ্রামে শেয়ালের উপদ্রব বেড়েছে। রাতে শেয়ালের দল চিৎকার চেঁচামেচি করে।
আরো পড়ুন: এবার প্রভার গোসলের ভিডিও ভাইরাল (ভিডিও সহ)
প্রায়ই খাবারের সন্ধানে শেয়ালের দল বাড়ি-ঘরে হানা দেয়।
তবে আগে এভাবে কখনও কাউকে কামড়ে দেয়নি।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শওকত হোসেন জানিয়েছে, হাসপাতালে ৩২ জন রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজন টিকা নিয়ে বাড়িতে চলে যায়। বাকিদেরকে আগামীকাল সকালে এসে জলাতঙ্ক রোগের টিকা দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।