যশোরের শার্শায় জমিজমার পূর্ব শত্রুতার জেরে বড়ভাই ইদ্রিস আলী চলাকাঠ দিয়ে মেরে আহত করেছে ছোটবোন মর্জিনা খাতুনকে। ভাইয়ের সাথে একাজে সহযোগিতা করেছে স্ত্রী রওশনআরা ও ছেলে বিপ্লব হোসেন। তবে ভাই ইদ্রিস আলী মারের ঘটনাটি অস্বীকার করে বলেন ছোটবোন উল্টো করে আমাকে মেরেছে।
এ বিষয়ে শার্শা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে মর্জিনা খাতুন।
আরো পড়ন:ডেমরায় স্ত্রীর সাথে অভিমান করে স্বামীর আত্মহত্যা
অভিযোগে জানা যায়, শার্শা উপজেলার বাঁগআচড়া ইউনিয়নের বসতপুর গ্রামের মৃত. আব্দুল জলিলের মেয়ে মর্জিনা খাতুন দীর্ঘ দিন যাবত বিদেশে চাকরী শেষে গত একবছর আগে গ্রামে ফিরে আসেন। বাড়ি ফেরার পর থেকে ভাই, ভাইপো ও ভাবির সাথে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে।
গত শুক্রবার দুপুরে ভাই, ভাইপো ও ভাবি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে।
একপর্যায়ে কেন এ ব্যবহার জানতে চাইলে বাঁশের লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারপিট করলে আহত হয়। পরে রবিবার সকালে জের ধরে মেহগনি কাঠের চলা দিয়ে বেদম মারপিট করে।
আরো পড়ন:থানার মধ্যে টিকটক ভিডিও করে চাকরি হারালেন মহিলা পুলিশ
মর্জিনা খাতুন বলেন, আমি বিদেশ থাকাকালীন সময়ে ভাই, ভাবি ও ভাইপোকে স্বর্ণ, কম্বলসহ অনেক ব্যবহারের জিনিস দিয়েছি। বাড়ি আসার পর থেকে জমি নিয়ে বিবাদ চলে আসছে। ঘটনার দিন সকালে আমার দেওয়া ঐ সব জিনিস ফেরত দেয় এবং গালিগালাজ করে। বিষয়টি জানতে চাইলে আমাকে তাদের মনের মত প্রচুরভাবে মারপিট করে।
এসময় মা বাধা দিলে তিনিও মারপিটের শিকার হন।
মারপিটের এক পর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে পড়লে স্থানীয়রা উদ্ধার করে শার্শা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আমার সমস্ত পিঠ, হাত পায়ে মারের দাগ আছে। আমি ৯৯৯ এ কল দিলে শার্শা থানার এসআই পবিত্র বিশ্বাস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। জীবনের নিরাপত্তার কথা ভেবে আমি থানায় একটি অভিযোগপত্র দিয়েছি।
আরো পড়ন:খাবার খাচ্ছিলেন মা, গুলি করে হত্যা করল ছেলে
ইদ্রিস আলীর কাছে জানতে চাইলে দম্ভোক্তির সহিত সাংবাদিকদের নিকট বলেন, এটা একটা পারিবারিক বিষয়। এই নিয়ে আপনারা মিডিয়ায় ফ্লাশ করছেন এটা একটা দু:খজনক ব্যাপার। আমি কোন বক্তব্য দিতে পারব না, এতে আমার রায়ে জেল ফাঁসি যা হয় হবে।
শার্শা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বদরুল আলম খান বলেন, মারপিটের ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ পত্র দাখিল করেছে ভূক্তভোগী মর্জিনা খাতুন। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।