শিশুটির সবে বয়স মাত্র সাত মাস। এখনও সে হাঁটতে শেখেনি। সে কথাও বলতে পারে না। পৃথিবীর রং-রূপ বা চ্যালেঞ্জ দেখার আগেই নির্মমতার শিকার হয়ে প্রাণ হারাতে হলো শিশুটিকে। দুই পা ধরে উল্টা করে মাথা ফ্লোরে আছড়ে হত্যা করেন শিশুটির বাবা।
খুনের অভিযোগ স্বয়ং বাবার বিরুদ্ধে। মা মামলা করার পর গ্রেপ্তারও করা হয়েছে একমাত্র আসামিকে।
পুলিশ জানিয়েছেন, আর্থিক টানাপড়েন নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার এক পর্যায়ে এই খুন করেছেন বাবা।
আটক রফিকুল ইসলাম পেশায় রিকশাচালক। রফিকুল রাজধানীর দক্ষিণখানের মুন্সি বাড়ি এলাকায় থাকতেন।
প্রাণ হারানো শিশুটির নাম আবদুল কাদের জিলানি।
আরো পড়ুন: টানা ১১ বছর প্রেমের পর নিজের বোনকে বিয়ে
দক্ষিণখান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আফতাব উদ্দিন সংবাদ মাধ্যমকে জানান, সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে তাদের বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
আফতাব উদ্দিন বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে যতটুকু জানতে পেরেছি, রফিকুল একজন মাদকাসক্ত। নিয়মিত বাসা ভাড়া দিতে পারতেন না বলে বাড়িওয়ালা নানা কটূ কথা বলতেন।
এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকত।
‘আজকে তাদের ঝগড়ার এক পর্যায়ে রফিকুল তার সন্তানকে দুই পা ধরে উল্টা করে মাথা ফ্লোরে আছড়ে হত্যা করেন।’
আরো পড়ুন: মায়ের মৃত্যুর পর বাবার ধর্ষণে গর্ভবতী মেয়ে
এ ঘটনায় শিশুটির মা রাহিমা খাতুন দক্ষিণখান থানায় রফিকুলের বিরুদ্ধে মামলা করার পর পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।
শিশুটির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে যে, গ্রেপ্তার রফিকুলের বাড়ি শেরপুরের শ্রীবর্দী থানায়। আর রাহিমার বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গায়। তিনি গৃহিনী।
সংসার চলত রফিকুলের রিকশা চালানোর আয়ে।
করোনাকালে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড কমে যাওয়ার প্রভাব পড়েছে রিকশাচালকদের আয়েও। বহু শ্রমিক জানাচ্ছেন, আগের মতো ভাড়া পান না তারা। মানুষের যাতায়াত কমে গেছে। তাই অনেক সময় অলস কাটাতে হয় তাদের।