যশোরের শার্শায় প্রেমের সম্পর্ক জড়িত কারণে অপহরণের শিকার হয়েছে ৯ম শ্রেণির এক ছাত্রী।
উক্ত ঘটনাটি তদন্ত করে ২ অপহরণকারীকে আটক করেছে পুলিশ।
আরো পড়ন:কিশোরগঞ্জে প্রবাসীর ঘুমন্ত স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা
এক সূত্রে জানা যায়, শাকিল হোসেন (২০) নামে এক ছেলের সঙ্গে ফোনে পরিচয় হয়েছিল ছাত্রীটির (১৪)। এভাবে কথা বলতে বলতে এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরী হয়। এবং শাকিল মেয়েটিকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় কিন্তু মেয়েটি এই প্রস্তাবে রাজি হয়নি। এতে শাকিল রেগে যায় এবং তাঁর একজন সহযোগী ইব্রাহিম শেখ (৪৫) কে সাথে নিয়ে মেয়েটিকে অপহরণ করে।আর এই অভিযোগ করেন মেয়েটির মা।
বুধবার( ৬ জানুয়ারী)সকালে শার্শা থানায় অপহরণ মামলা হয়েছে।
মেয়েটির মা বাদী হয়ে শাকিল ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলাটি করেন।
আরো পড়ন:ময়মনসিংহে ৬ দিন ধর্ষণের পর রাস্তায় ফেলে গেল মাদ্রাসাছাত্রীকে
মামলার এজাহারে বলা হয়, বাদীর বাড়ি যশোরের শার্শা উপজেলায়। তাঁর মেয়ে উপজেলার একটি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। শাকিল হোসেনের সঙ্গে তাঁর মেয়ের ফোনে পরিচয় হয়। এরপর তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শাকিল তাঁর মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দেন।
কিন্তু তাঁর মেয়ে সে প্রস্তাবে রাজি হয়নি। তাঁর মেয়ে স্কুল থেকে নতুন বই নিয়ে বাড়ি ফিরছিল।
এ সময় স্কুলের সামনে থেকে শাকিল হোসেন ও ইব্রাহিম শেখ তাঁর মেয়েকে মোটরসাইকেলে তুলে নেই এবং যশোর সড়কের দিকে চলে যান। মেয়েটি খুব চিৎকার করে,, আশপাশের লোকজন সেখানে উপস্থিত হন। কিন্তু তাঁরা মেয়েকে রক্ষা করতে পারেননি।
আসামি শাকিল হোসেন ও ইব্রাহিম শেখের বাড়ি কুষ্টিয়ার ইবি থানার বরইপাড়া গ্রামে।
আরো পড়ন:শেরপুরে এক তরুণী অন্তঃসত্ত্বা, বিয়ের আশ্বাসে ধর্ষণ
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বদরুল আলম খান জানান, মামলা করার পর আমরা ঘটনার তদন্ত করি এবং ঘটনাটির সত্যতা যাচাই করে অভিযান চালায় এবং আমরা সফল হই।
কুষ্টিয়ার ইবি থানার বরইপাড়া গ্রাম থেকে অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে।
আসামি ২ জনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
ছাত্রীটিকে যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে।
আরো পড়ন:মায়ের মৃত্যুর পর বাবার ধর্ষণে গর্ভবতী মেয়ে
এ ছাড়া ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে ২২ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানান তিনি।