মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দী গ্রামে বাড়ির পাশের ডোবা থেকে মো. হাসান মিয়া (১৭) নামে ১ কিশোরের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তার বাবা, মা ও বোনকে আটক করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় আটক পরিবারের সদস্যরা ছেলে হাসান মিয়াকে হত্যার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে।
পরিবারের সদস্যরা জানায়, হত্যা করে মরদেহটি ডোবায় ফেলে দেওয়া হয়। ১৭ দিন পর দুর্গন্ধ বের হলে পুলিশকে খবর দেয়।
পুলিশ বলছে, মাদকাসক্ত হাসান ওইদিন বোনকে ধর্ষণের চেষ্টা করলে তাকে মারধর করে বাবা-মা। একপর্যায়ে মৃত্যু হলে তাকে ডোবায় ফেলে দেয় পরিবারের সদস্যরা।
শনিবার (৯ জানুয়ারি) সকালে গজারিয়ার হোসেন্দী বাজার এলাকা থেকে অভিযুক্ত ৩ জনকে আটক করা হয়েছে।
এরা হলেন- নিহত হাসানের বাবা মো. শামীম শিকদার (৪০), মা হাসিনা বেগম (৩৮) ও বোন (১৫)। এর আগে শুক্রবার (৮ই জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার হোসেন্দী গ্রামের ডোবা থেকে হাসানের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরো পড়ুন: খাবার খাচ্ছিলেন মা, গুলি করে হত্যা করল ছেলে
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রইছ উদ্দিন জানান, নিহত হাসান মিয়া মাদকাসক্ত ছিল। ঘটনার দিন রাতে তার বোন প্রকৃতির ডাকে সাড়ে দিতে ঘরের বাইরে বের হলে হাসান তাকে জোর করে তার ঘরে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। বোনের চিৎকারে মা, বাবা এসে ছেলেকে মারধর করলে একপর্যায়ে মৃত্যু হয় হাসানের। এরপর মরদেহটি বাড়ির পাশে ডোবায় ফেলে দেয় পরিবারের সদস্যরা। এ ঘটনা প্রত্যক্ষ করে নিহতের ছোট ভাই।
তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই ঘটনার মূল রহস্য জানা গেছে। সে মামলার বাদী। আটকদের রোববার আদালতে পাঠানো হবে।
আরো পড়ুন: ভাড়ায় স্বামী মিলছে রাজধানীতে
জানা যায় যে, বাড়ির পাশের ডোবা থেকে অতিমাত্রায় দুর্গন্ধ বের হলে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। একপর্যায়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হাসানের মরদেহ উদ্ধার করে। ১৭ দিন ধরে মরদেহটি ডোবায় পড়ে ছিল।