মাকে কোপানোর ৭ দিনের মাথায় আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে মো. সোহাগ নামের এক যুবক। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ঘরে আগুন লাগলে ওই যুবক পুড়ে ছাই হয়ে যায়। খবর পেয়ে ভোর ৪টার দিকে ফায়াস সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আজ মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) সকালে স্থানীয়রা মো. সোহাগের পুড়ে ছাই লাশ দেখে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
এই মর্মান্তিক ঘটনা ফেনী সদর উপজেলার ধলিয়া ইউনিয়নের অলিপুর গ্রামে ঘটেছে । পুলিশ বলছে, অনুমান ছাড়া মো. সোহাগের লাশের তেমন কোনো অস্তিত্ব নেই। আপদমস্তক পুরোটাই পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে।
আরো পড়ুন: কুড়িগ্রামে দুই মাথা-চার চোখের বাছুরের জন্ম
স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার আবুল বশর সবুজ বলেছেন, অলিপুর গ্রামের নুর নবীর বাড়িতে কেয়ারটেকার হিসেবে থাকেন মৃত ছালেহ আহমদের স্ত্রী নিলুফা আক্তার বালি ও মো. সোহাগসহ তার দুই ছেলে। নুর নবীর বাড়ির সকলে ঢাকা ও অন্যত্র বসবাস করেন। গত ৬ জানুয়ারি সোহাগ তার মাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। বর্তমানে তিনি ফেনী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মাকে কুপিয়ে আহত করার সাতদিনের মাথায় সোহাগ নিজেই লাশ হলো।
স্থানীয়রা জানালেন, গত সপ্তাহ খানেক আগে সোহাগ তার মাকে কুপিয়ে আহত করার পর সে কিছুটা অস্বাভাবিক আচরণ করছে। মায়ের কাছে টাকা না পেয়ে সে তার মাকে কুপিয়ে আহত করে।
আরো পড়ুন: রোহিত শর্মাকে নিয়ে বাজিতে হেরে অর্ধেক গোঁফ কাটলেন তিনি
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফেনী মডেল থানা পুলিশের উপপরিদর্শক মো. ইমরান হোসেন বলেন, বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে অন্য কোনো রহস্য আছে কি-না সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।