চুয়াডাঙ্গায় স্বামীর চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে উম্মে সালমা (৫১) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। গতিরোধক অতিক্রমের সময় মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ওই নারীর স্বামী আলতাব হোসেনও গুরুতর আহত হয়েছেন।
গত বুধবার (১৩ই জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারের নিকট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে গতিরোধকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত উম্মে সালমা নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার কলম গ্রামের আলতাব হোসেনের স্ত্রী। আলতাব হোসেনের স্ত্রী মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির দর্শনা অফিসের বিলিং সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। স্বামী আলতাব হোসেনও একই অফিসের প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত।
মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক প্রকৌশলী নূর মোহাম্মদ জানালেন, চাকরির সুবাদে উম্মে সালমা ও আলতাব হোসেন চুয়াডাঙ্গার শহরতলীর দৌলতদিয়াড়ের মার্কাজপাড়ায় ভাড়া বাড়িতে বসবাস করেন। প্রতিদিন মোটরসাইকেল করে দর্শনা অফিসে যাতায়াত করতেন তারা।
গত বুধবার রাতে অফিস শেষ করে দর্শনা থেকে স্বামী-স্ত্রী মোটরসাইকেল করে চুয়াডাঙ্গার বাসায় ফিরছিলেন। রাত ৮টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলখানার অদূরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে গতিরোধক অতিক্রম করার সময় চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়েন উম্মে সালমা।
আরো পড়ুন: ইমুতে কামনার ঢেউ তোলেন তাহমিনা
নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেল থেকে পড়ে যান স্বামী আলতাফ হোসেনও। এতে উম্মে সালমার মাথায় আঘাত লাগে। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিলে সেখানে উম্মে সালমা মারা যান।
আহত অবস্থায় আলতাব হোসেন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
নিহতের স্বামী আলতাফ হোসেন বলেছেন, প্রতিদিনের মতোই যাতায়াত করছিলাম। গতিরোধক অতিক্রম করতে গিয়ে সালমা ছিটকে পড়ে যায়।
আরো পড়ুন: টানা ১১ বছর প্রেমের পর নিজের বোনকে বিয়ে
মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এজিএম (প্রশাসন) সৈয়দ আমানুর রহমান জানালেন, এ ঘটনায় কারো কোনো অভিযোগ নেই। ফলে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফখরুল আলম খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।