হাতে একটি কৈ মাছ। এমন সময় আরো একটি কৈ মাছ ধরতে গিয়ে আগেরটি রাখার জায়গা না পেয়ে জ্যান্ত কৈ মাছটিকে দাঁত দিয়ে কামড়ে ধরে অন্যটি ধরতে গিয়েছিলেন এক যুবক। এদিকে মুখের কৈ মাছটি লাফালাফি শুরু করায় দাঁতের ফাঁক সোজা গিয়ে আটকায় নুরুজ্জামান নামের ওই যুবকের গলায়।
গত শনিবার দুপুরে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার টেকেরহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এরপর নুরুজ্জামানকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে নাক, কান, গলা বিভাগের প্রধান ডা.শফিক উর রহমানের তত্ত্বাবধানে নুরুজ্জামানের শ্বাসনালীতে অপারেশন করে বের করা হয় সেই কৈ মাছ।
অপারেশনের পর নুরুজ্জামান শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা.শফিক উর রহমান।
আরো পড়ুন: বিয়ের দাওয়াতে অতিরিক্ত খেতে গিয়ে প্রাণ গেল যুবকের
ঘটনার বিষয়ে ডা.শফিক উর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, গলার সাথে যেহেতু শ্বাসনালী যুক্ত তাই আমরা প্রথমেই ট্রাকিওস্টোমি করে শ্বাসনালীটা বাইপাস করি। তারপর রোগীকে অজ্ঞান করে গলার ভেতর মেশিন দিয়ে কেটে কৈ মাছ বের করে আনি। কৈ মাছের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এর কাঁটা উল্টো দিকে থাকে। এর কারণে শ্বাসনালী ছিঁড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এজন্য আমার রোগীকে অজ্ঞান করি।
পরে গলার নিচে সামনে একটা ছিদ্র করি। এটাকে ট্রাকিওস্টোমি বলে। এটা করে আমরা কৈ মাছটাকে বের করেছি। রোগী শঙ্কামুক্ত এবং এখন সে ভালো আছে। রোগীর কোনো সমস্যা নেই। সাত দিন পরে গলার সামনে আমরা যে ছিদ্র করেছি সেটা সেলাই করে বন্ধ করে দিবো। তাহলেই সে বাড়ি যেতে পারবে। তবে এই ঘটনা থেকে অবশ্যই সবাইকে সাবধান হতে হবে- বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
একটিভ নিউজ
আপনার মতামত লিখুন :