রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ওয়াইড ভিশন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্লে থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটিতে রয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ডিজিটাল ক্লাশরুম। এরফলে শিক্ষার্থীরা মুখস্থবিদ্যার পরিবর্তে বিকশিত চিন্তাশক্তি, কল্পনাশক্তি এবং অনুসন্ধিত্সু মননের অধিকারী হয়ে মানসম্পন্ন যোগ্যতা অর্জন করতে পারছে।
বিষয়ভিত্তিক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকারা ক্লাস নেওয়ার ফলে শিক্ষার্থীরা সহজেই পাঠ্যবিষয় সম্পর্কে ধারণা লাভ করতে পারে। আর এই প্রতিষ্ঠানটির গুণগত শিক্ষার কারণেই প্রতিবছরেই ভালো রেজাল্ট করতে পারছে ওয়াইড ভিশনের শিক্ষার্থীরা।
গনিত ও ইংরেজি বিষয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের আরও দক্ষ করে তুলতে নিয়মিত ক্লাস ছাড়াও অতিরিক্ত টিউটিরিয়াল ক্লাসের ব্যবস্থা করেছে কলেজ প্রশাসন। নিয়মিত শ্রেণিকক্ষে পাঠ্যবিষয় বুঝিয়ে দিয়ে পড়া দেয়া এবং পড়া আদায় করা হয় বলেও জানিয়েছেন ইংরেজি বিষয়ের প্রভাষক ইমরান আলম রোজ।
এক প্রশ্নের জবাবে ইমরান আলম রোজ জানান, মহামারী করোনাকালীন সময়েও অনলাইন জুম ক্লাসের মাধ্যমে ক্লাস নিয়েছেন আমাদের শিক্ষকরা। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে করোনা সময়েও আমাদের শিক্ষার্থীদের একাডেমিক পড়াশুনার মধ্যে রেখেছি। এতে করে তারা নিজেদের জ্ঞানকে আর প্রসারিত করার সুযোগ পেয়েছে।
স্কুলের ভাইস প্রিন্সিপাল মো হামিদুল হক বলেন, দৈনিক পাঠ না শিখলে ছুটির পর সংশোধনী ক্লাসের মাধ্যমে পড়া শেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। পিএসসি,জেএসসি,এসএসসি’তে ভালো রেজাল্টের লক্ষ্যে পঞ্চম, অষ্টম ও নবম-দশম শ্রেণিতে স্পেশাল ক্লাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
তিনি আরও জানান, পরীক্ষার মেধা তালিকা ঘোষণায় কৃতি শিক্ষার্থীদেরকে প্রদান করা হয় পুরষ্কার। এছাড়াও পরীক্ষার ফলাফল অভিভাবকের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
অভিভাবকদের যেকোন অভিযোগ ও পরামর্শ আন্তরিকতার সাথে গ্রহণ এবং তা দ্রুত বাস্তবায়ন করা হয়। আর এ কারণে নতুন নতুন দিগন্ত উন্মোচন করা হয়।
হামিদুল বলেন, মহামারী করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মধ্যে উত্তরার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে আমরাই প্রথম অনলাইনে শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ক্লাস নিয়েছি।
ওয়াইড ভিশন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রফেসর ডক্টর এম আবু জাফর বলেন, 'শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড আর উন্নয়নের শিখরে আরোহণের জন্য শিক্ষাব্যবস্থাকে যুগোপযোগী ও তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর করার কোনো বিকল্প নেই। আর শিক্ষাব্যবস্থার ডিজিলাইজেশনের ক্ষেত্রে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া দরকার প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থায়, কেননা একটি জাতির মূল ভিত্তিই রচিত হয় শিশুদের প্রদত্ত শিক্ষা কার্যক্রমের ভিত্তিতে'।
তিনি আরও বলেন, এ কারণেই উন্নত দেশগুলোতে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়। ডিজিটালাইজেশনে কারণে শতভাগ ক্লাস রুমে ডিজিটাল কনটেন্ট সরবরাহ করা হয়।
এরফলে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে আরও সহজ হয়।