প্রতিবছরের মতো এবারও পহেলা জানুয়ারি বই বিতরণ শুরুর কথা থাকলেও চাহিদা অনুযায়ী সরকারি বই আসেনি ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে। বিতরণের আগে সময়মতো বই আসবে কিনা সে বিষয়েও সন্দেহ রয়েছে।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সূ্ত্র জানায়, প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের চাহিদার ৭৪ দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য চাহিদার মাত্র ১৬ দশমিক চার দুই শতাংশ পাঠ বই সংশ্লিষ্টদের কাছে পৌঁছিয়েছে।
তবে প্রাক-প্রাথমিকের শতভাগ বই পাওয়া গেছে বলেও জানায় সূএটি।
সূত্রটি আরো জানায়, জেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কিন্ডারগার্টেনের জন্য ২৩ লাখ ৯৯ হাজার ৪৩০টি পাঠ্য বইয়ের চাহিদা পাঠানো হয়।
আরো পড়ুন: নতুন শিক্ষাবর্ষে রোল নম্বর থাকছে না শিক্ষার্থীদের
এর বিপরীতে চাহিদার মধ্যে মঙ্গলবার নাগাদ ১৭ লাখ ৭৩ হাজার ৩১০টি বই পৌঁছিয়েছে। জেলায় মাধ্যমিক, দাখিল ও ইবতেদায়ী পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ৪২ লাখ ৬০ হাজার ৮২১টি পাঠ্য বইয়ের চাহিদা পাঠানো হয়।
এর মধ্যে মাধ্যমিক পর্যায়ের চাহিদার ৩৩ লাখ ৯১ হাজার ১৩৮টি বইয়ের মধ্যে পাঁচ লাখ ৩৪ হাজার ১২৯টি বই পৌঁছিয়েছে।
আরো পড়ুন: এবার স্কুলের নতুন বই বিতরণ হবে যেভাবে
অন্যদিকে ইবতেদায়ীর শিক্ষার্থীদের জন্য চাহিদার দুই লাখ ৩৫ হাজার ৫১০ পাঠ্য বইয়ের মধ্যে পৌঁছেছে এক লাখ ৫৭ হাজার ৩৭২টি বই। আর দাখিলের জন্য চাহিদা দেওয়া আট লাখ ৮৫ হাজার ৪৫৪টি পাঠ্য বইয়ের একটি বইও আসেনি।
বই সরবরাহের বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার খোরশেদ আলম জানান, হাতে এসে পৌঁছানো বই বিভিন্ন বিদ্যালয়ে পাঠানো শুরু হয়েছে গত শনিবার থেকেই। নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে শিক্ষার্থীদের হাতে বই পৌঁছানো যাবে বলে আশা রাখছি।
এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসার শফি উদ্দিন বলেন, মঙ্গলবারের রাতের মধ্যে আরো বই আসার কথা রয়েছে। নতুন বছর শুরু হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই আমরা সকল শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দিতে পারব।
বই নিয়ে কোনো ধরণের সমস্যা হবে না।