ধর্ম পরিবর্তন করে বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক তরুণীকে তুলে নিয়ে গিয়ে দশ দিনেরও বেশি সময় লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগে স্থানীয় তরুণ যুবককে আটক করেছে ভারতীয় পুলিশ। এর আগে গত বৃহস্পতিবার কটক নামক এলাকা থেকে ২১ বছরের ওই তরুণীকে উদ্ধার করা হয়। ১২ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন তিনি।
ভারতের ওড়িশায় ঘটেছে এক ঘৃণ্য ঘটনা।
আরো পড়ুন: বিয়ে না করেই একসঙ্গে বসবাস! মুম্বাইয়ে বাংলাদেশি তরুণীর পচাগলা লাশ
সংবাদ প্রতিদিনের খবরে জানা যায়, গত ৫ ডিসেম্বর কলেজে যাচ্ছিলেন নির্যাতিতা তরুণী। সেই সময়ই তাঁকে অপহরণ করে। তাঁর মোবাইল ফোনটিও সুইচ অফ হয়ে যায়।
পরিবারের সকলে বিভিন্ন জায়গায় খুঁজেও কোনো চিহ্ন না পেয়ে শেষে পুলিশে এফআইআর দায়ের করেন।
এফআইআরে তরুণীর বাবা অভিযোগ করেন, ওই তরুণ বারবার তাঁর মেয়েকে বিরক্ত করত ধর্ম বদল করে বিয়ে করার জন্য। যেহেতু ওই তরুণী সেই প্রস্তাবে রাজি হননি, তাই তাঁকে অপহরণের হুমকি দেয় অভিযুক্তকারি। কলেজে যাওয়ার সময় তাঁকে অপহরণ করেছিল অভিযুক্ত ওই তরুণ। তরুণীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে কোন ধর্ম বদলে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়; সে তথ্য জানা যায়নি।
আরো পড়ুন: পুত্রবধূর সাথে “বিশেষ মুহূর্তে” ধরা শ্বশুড়, পিটিয়ে মেরেই ফেললেন শাশুড়ি
জাজপুর জেলা থেকে অভিযুক্ত তরুণকে আটক করে বিচারবিভাগীয় হেফাজত পাঠানো হয়েছে।
কেবল অভিযুক্তই নয়, তার বাবাকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি লাগাতার ওই তরুণীর অভিভাবকদের হুমকি দিচ্ছিলেন।
জাজপুর জেলার ধর্মশালা থানার পুলিশ ইনস্পেক্টর সরোজ সাহু জানান, মেডিক্যাল পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে। মেডিক্যাল পরীক্ষায় প্রমাণিত, ওই তরুণীকে বহুবার ধর্ষণ করা হয়েছে। জেলাপ্রশাসকের সামনে নির্যাতিতার বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। বিচারবিভাগীয় হেফাজত পাঠানো হয়েছে অভিযুক্তকে।