বিজ্ঞান বিষয়ক জার্নাল নেচারে প্রকাশিত এক রিপোর্টে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও সুইজারল্যান্ডের গবেষকরা জানিয়েছেন, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড টিকা ‘কোভিশিল্ড’ নেওয়া থাকলে করোনা থেকে আজীবন সুরক্ষা মিলবে।
প্রকাশিত ওই গবেষণার রিপোর্টে বলা হয়, অ্যান্টিবডি তৈরি ছাড়াও এই টিকা ‘সার্চ-অ্যান্ড-ডেসট্রয় টি-সেল’কে প্রস্তুত করে। এ যেন শরীরের মধ্যেই টি-সেলের ‘প্রশিক্ষণ শিবির’। ফলে সেটি ভবিষ্যতে নতুন ভ্যারিয়েন্টের ভাইরাসের বিরুদ্ধেও সমান কার্যকর হবে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের আজ শুক্রবারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কোভিশিল্ড টিকায় তৈরি অ্যান্টিবডি শেষ হওয়ার অনেক পরেও শরীরে এই গুরুত্বপূর্ণ কোষগুলো তৈরি হতে থাকবে। ফলে সম্ভবত সারাজীবনই তা অব্যাহত থাকবে।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে সুইজারল্যান্ডের গবেষক বুখার্ড লুডউইগ জানান, ‘এই সেলুলার প্রশিক্ষণ শিবিরগুলো থেকে যে টি-কোষগুলো আসে তাদের মধ্যে খুব উচ্চ স্তরের ফিটনেস থাকছে। ফলে ভবিষ্যতে মহামারি এই ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে এটিই রক্ষা করবে।’
বুখার্ড লুডউইগ বলেন ‘এক্ষেত্রে ভাইরাসই আমাদের সবচেয়ে বড় শিক্ষক বলা যায়। দেহের ‘টি-সেল’ রেসপন্স কীভাবে আরও ভাল করা যায়, সেই নিয়ে আও প্রচেষ্টার শিক্ষাই দিল করোনা।’
এর আগে এক গবেষণায় দেখা গেছে, ‘টি-কোষ’ তৈরিতে অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি এই কোভিড টিকা ফাইজার এবং মডার্নার মতো এমআরএনএ প্রযুক্তিতে তৈরি টিকাগুলোর চেয়েও বেশি কার্যকর।
প্রসঙ্গত, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ওষুধ কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি এই টিকাটি ভারতে উত্পাদন করছে সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া। সেরামের তৈরি এই টিকা ‘কোভিশিল্ড’ নামে পরিচিত।
রেজাউল করিম / একটিভ নিউজ
আপনার মতামত লিখুন :