গত ১ নভেম্বর থেকে সারাদেশে শুরু হয়েছে জাটকা আহরণ,পরিবহন,মজুত,ক্রয়-বিক্রয় ও বাজারজাতকরণে নিষেধাজ্ঞা। আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত তা বহাল থাকবে।
অপরাধ বিবেচনায় জাটকার আগের আকার ও মাপ ১০ ইঞ্চিই নির্ধারিত রয়েছে এখনও।
এদিকে জাটকা সংরক্ষণ অভিযান চলাকালীন সময় ফেব্রুয়ারি, মার্চ, এপ্রিল ও মে এই চার মাস প্রতিটি জেলে পরিবারকে ৪০ কেজি করে চাল সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এছাড়া সারাদেশে জাটকা নিধন বন্ধে অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম চলমান থাকবে।
আজ মঙ্গলবার (০২ নভেম্বর) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ইফতেখার হোসেন বলেন, জাটকা ধরার নিষেধাজ্ঞা সময়ে বিশেষ অভিযান চালাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রতিটি জেলে পরিবারকে চার মাস ৪০ কেজি হারে ভিজিএফের চাল বিতরণসহ বেশকিছু কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে।
মৎস্য অধিদপ্তরের ইলিশ শাখার উপ-প্রধান মাসুদ আরা মমি বলেন, বাংলাদেশের মৎস্য আইন অনুযায়ী বহু আগে জাটকার আকার ছিল নয় ইঞ্চি। কিন্তু ২০১৪ সালে গেজেট সংশোধন করে জাটকার মাপ ১০ ইঞ্চি নির্ধারণ করা হয়েছে। এরপর আর পরিবর্তন হয়নি। মুখ থেকে লেজ পর্যন্ত ইলিশের এই মাপ হিসাব করা হয়।
তিনি বলেন, জাটকা ধরা নিয়ে নতুন করে কোনো প্রজ্ঞাপন দেয়া হয়নি। সব সময়ের জন্য ১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ৮ মাস সারা দেশে জাটকা ধরা নিষেধ। এটার জন্য প্রতিবছর আমাদের কোনো নোটিশ বা গেজেটের প্রয়োজন হয় না। তবে এ সময়ে আমরা বিশেষ অভিযান পরিচালনা করব। শিগগিরই অভিযান পরিচালনার জন্য সব জেলা প্রশাসক বরাবর চিঠি দেওয়া হবে।
বাংলাদেশে সরকারি তথ্য অনুযায়ী ২০১০ সালে ইলিশের উৎপাদন ছিল প্রায় তিন লাখ মেট্রিক টন। ওই উৎপাদন এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাড়ে পাঁচ লাখ টনের মতো। সরকারের লক্ষ্য আগামী দু’বছরের মধ্যে উৎপাদন ৭ লাখ টনে উন্নীত করা। বাংলাদেশ এখন ইলিশ উৎপাদন ও রপ্তানিতে বিশ্বের মধ্যে এক নম্বর অবস্থানে রয়েছে।
ফাহিম / একটিভ নিউজ
আপনার মতামত লিখুন :