লঞ্চের ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে ৬০ পয়সা বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে চলমান লঞ্চ ধর্মঘট প্রত্যাহার করে রোববার রাত থেকেই লঞ্চ চলাচলের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
পুরনো ভাড়ায় ১০০ কিলোমিটার দূরত্ব পর্যন্ত প্রতি কিলোমিটার লঞ্চ ভাড়া ছিল ১টাকা ৭০পয়সা। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ দূরত্বে প্রতি কিলোমিটার লঞ্চ ভাড়া হবে ২ টাকা ৩০ পয়সা।
অর্থাৎ ১০০ কিলোমিটার দূরত্বের লঞ্চ ভাড়ায় প্রতি কিলোমিটারে বাড়ল ৬০ পয়সা। অন্যদিকে পুরনো ভাড়ায় ১০০ কিলোমিটারের ঊর্ধ্বের দূরত্বে প্রতি কিলোমিটার আছে ১ টাকা ৪০ পয়সা। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ দূরত্বের প্রতি কিলোমিটার ভাড়া হবে ২ টাকা। এর বাইরে লঞ্চযাত্রীদের জনপ্রতি সর্বনিম্ন ভাড়া ছিল ১৮ টাকা।
নতুন নির্ধারিত ভাড়া অনুযায়ী সেটা করা হয়েছে ৩০ টাকা। উল্লিখিত হিসাব অনুযায়ী কম দূরত্বে লঞ্চের ভাড়া ৩৫ দশমিক ২৯ শতাংশ ও বেশি দূরত্বের ক্ষেত্রে ৪২ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। একইসঙ্গে চলমান লঞ্চ ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে।
রাজধানীর মতিঝিলের বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) কার্যালয়ে রোববার সরকারের সঙ্গে লঞ্চ মালিকদের বৈঠকে ভাড়া বাড়ানো ও ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাপ) সংস্থার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুব উদ্দিন আহমদ বীরবিক্রম ও সিনিয়র ভাইস-প্রেসিডেন্ট বদিউজ্জামান বাদল, বাংলাদেশ লঞ্চ মালিক সমিতির মহাসচিব শহিদুল ইসলাম ভূঁইয়া, নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আমিনুর রহমান, বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তা এবং লঞ্চ মালিকরা উপস্থিত ছিলেন।
দীর্ঘ চার ঘণ্টার বৈঠক শেষে বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের উল্লিখিত সিদ্ধান্তগুলো জানান। তিনি বলেন, আশা করি আমরা শিগগিরই ভাড়া বাড়ানোর বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করতে পারব।
আমরা সবকিছু বিবেচনায় নিয়েছি, যাতে যাত্রীদের কষ্ট না হয়, সাধারণ মানুষের যাতে ভোগান্তি না হয়। আমার মালিকরাও যাতে ক্ষতির সম্মুখীন না হয়। ৮ বছর পর আমরা ভাড়া সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল (যাপ) সংস্থার সভাপতি মাহবুব উদ্দিন বলেন, ২০১৩ সালের পরে এই প্রথম আমরা ভাড়ায় সমন্বয় করতে পারলাম। মালিক ভাইদের বিগত সময়ের দুঃখ-বেদনা, লোকসান বিবেচনা করে, মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করেই এটা আমরা করেছি।
আশা করছি মালিক ভাইয়েরা এই মুহূর্ত থেকে তাদের যে কাজ করার অনীহা ছিল, বলেছিলেন জাহাজ চালানো আমাদের জন্য আর লাভজনক নেই, আমরা আর জাহাজ চালাতে পারব না, তারা প্রত্যেকে নিজ নিজ সিদ্ধান্তে শনিবার বিকাল থেকে জাহাজ পরিচালনা বন্ধ রেখেছিলেন।
ফাহিম / একটিভ নিউজ
আপনার মতামত লিখুন :