বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়া নিয়ে আবারও আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীর উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নিতে ফের আবেদন করেছে তার পরিবার। খালেদা জিয়ার ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার গত বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ আবেদন জমা দেন। পরদিন (শুক্রবার) যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন তিনি।
এ প্রসঙ্গে খালেদা জিয়ার ছোট বোন সেলিনা ইসলাম বলেন, তার (খালেদা জিয়া) এখন বিদেশে উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। চিকিৎসকরা তাকে দ্রুত বিদেশ নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। সেজন্য পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে বিদেশ নিতে সরকারের অনুমতির জন্য ফের আবেদন করা হয়েছে। সরকার যেন সেই অনুমতি দেয়।
এ ব্যাপারে সোমবার রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের একান্ত সচিব দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, একটি আবেদন দিয়েছেন। তা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের একটি সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার পাসপোর্ট সরবরাহের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। সরকারের নির্দেশ পেলেই আমরা তা সরবরাহ করব।
সবশেষ ৫ মে শামীম এস্কান্দার খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠানোর অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদন আইন মন্ত্রণালয় গেলে তা নাকচ হয়ে যায়।
দীর্ঘ ২৬ দিন হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে ৭ নভেম্বর বাসায় ফেরেন খালেদা জিয়া। কিন্তু তার শারীরিক কিছু জটিলতা দেখা দেওয়ায় শনিবার তাকে ফের এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে সেখানে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তাকে হাসপাতালের সিসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা চলছে। এদিকে সোমবার সন্ধ্যায় খালেদা জিয়ার বোন সেলিনা ইসলাম এভারকেয়ার হাসপাতালে যান। ৭৬ বছর বয়সি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাজার পর খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়। পরিবারের আবেদনে গত বছরের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে তার সাজা স্থগিত করে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। কারাগার থেকে অসুস্থতা নিয়ে মুক্তির পর এ পর্যন্ত খালেদা জিয়া তিনবার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন।
ফাহিম / একটিভ নিউজ
আপনার মতামত লিখুন :