বাংলাদেশে গৃহহীন মানুষদেরকে ঘর তৈরি করে দিতে চায় তুরস্কের সরকার। এখনও কতটি পরিবারকে তারা ঘর তৈরি করে দেবে সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।
এরইমধ্যে দুই ধরনের ঘর করে দেয়ার জন্য কত টাকা খরচ হবে তা সরকারের কাছ থেকে জেনে নিয়েছেন দেশটির রাষ্ট্রদূত মোস্তফা ওসমান তুরান।
দুপুরে সচিবালয়ে রোববার (২০ ডিসেম্বর) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমানের সঙ্গে দেখা করে এ বিষয়ে আলোচনা করেন তুরস্কের রাষ্ট্রদূত।
আরো পড়ুন: নিজের স্ত্রীর গোপনাঙ্গে রড দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যাচেষ্টা স্বামীর
এ বিষয়ে দূত জানান, এরদোয়ান তার ঢাকা সফরে এসব ঘর গৃহহীনদের হাতে তুলে দিতে চান।
আগামী মার্চে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে এরদোয়ানকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ঢাকা। এদিকে এ সফরে এসে এরদোয়ান বাংলাদেশে আধুনিক তুরস্কের প্রতিষ্ঠাতা কামাল আতাতুর্কের ভাস্কর্য উদ্বোধন করতে চান বলে আগেই জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে তার দেশেও বঙ্গবন্ধুর একটি ভাস্কর্য নির্মাণ হবে বলে জানানো হয়।
ঘর তৈরির বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার তুরস্কের দূতকে জানিয়েছে, ইটের তৈরি ঘর করতে খরচ হবে এক লাখ ৮০ হাজার টাকা। আর ভাঙনপ্রবণ এলাকায় হবে স্থানান্তরযোগ্য স্টিলের কাঠামোর বাড়ি, যেগুলোতে খরচ হবে সোয়া তিন লাখ টাকা। প্রতিটি ঘরের আয়তন হবে ৪৪০ বর্গফুট।
আরো পড়ুন: আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রীর মাথায় ডিম ফাটাল বিক্ষোভকারীরা!
অন্যদিকে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রতিমন্ত্রী জানান, গত ১৩ অক্টোবর আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৭ হাজার দুর্যোগ সহনীয় ঘর তুলে দিয়েছেন ঘরহীন মানুষের হাতে। সেই অনুষ্ঠানে ছিলেন তুর্কি রাষ্ট্রদূত ও দেশটির সংস্থা টার্কিশ কো-অপারেশন অ্যান্ড অর্ডিনেশন এজেন্সি-টিকার সমন্বয়ক।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সেদিন তারা জানান দেশটির প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে টিকার মাধ্যমে দুর্যোগ সহনীয় ঘর তৈরিতে অনুদান দিতে চায় তাদের সরকার।
আমরা প্রাথমিক আলোচনা করেছিলাম আজকের দ্বিতীয় দফা আলোচনা।