কলাবাগানের স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ-হত্যার ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে পুলিশ। এখন সেই ফুটেজকে কেন্দ্র করেই এগিয়ে চলছে তদন্ত। সেইসাথে একের পর এক বের হয়ে আসছে বিভিন্ন তথ্য।
সিসিটিভি ক্যামেরার সেই ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, দিহানের বাসায় প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে অবস্থান করছিল আনুশকা। এ সময় তিন ব্যক্তির রহস্যজনক গতিবিধির উপস্থিতি পাওয়া গেছে।
এদিকে মাদকের পরিণতিতেই এমন ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
আরো পড়ুন: বিধবা নারীকে গণধর্ষণের পর গোপনাঙ্গে গ্লাস ঢুকিয়ে নির্যাতন
সিসিটিভির ফুটেজে দেখা গেছে, গত ৭ জানুয়ারি দুপুর ১২টা ১২ মিনিটে কলাবাগানে দিহানের বাসার সিঁড়িঘরের দিকে যায় আনুশকা।
এরপর দুপুর একটার দিকে বাসার সামনে রহস্যজনক গতিবিধির দেখা মেলে তিন ব্যক্তির। এরপর প্রায় দেড় ঘণ্টা পর দুপুর ১টা ৩৬ মিনিটে বাসা থেকে বের হয় দিহানের গাড়ি।
এ বিষয়ে ডিএমপির নিউমার্কেট জোনের এসি আবুল হাসান বলেন, ঘটনার পর থেকেই নজরদারিতে ছিলেন ওই বাসার দারোয়ান দুলাল। ঘটনার যথার্থতা যাচাইয়ে তার প্রয়োজন বোধ করায় তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলের আশপাশের পুরো এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ আমরা বিশ্লেষণ করে দেখেছি।
আরো পড়ুন: কুড়িগ্রামে দুই মাথা-চার চোখের বাছুরের জন্ম
তিনি আরো বলেন, পাশাপাশি দিহানের ওই তিন বন্ধুর মোবাইল নম্বর ট্র্যাক করে ঘটনার সময় তারা কোথায় ছিল সেই লোকেশন বের করা হয়েছে। সবকিছু মিলিয়ে তাদের সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় আমরা ছেড়ে দিয়েছি।
তবে তারা নজরদারির বাইরে নয়। প্রয়োজনে তাদের আবার হেফাজতে নেওয়া হবে।
অন্যদিকে ঘটনার বিষয়ে ডিএমপির রমনা বিভাগের ডিসি মো. সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ঘটনাটির সত্যতা যাচাইয়ে আমরা প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে দারোয়ানকে হেফাজতে নিয়েছি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এছাড়া আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী দু-এক দিনের মধ্যে দিহানের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হবে।
আরো পড়ুন: নায়িকা হতে এসে গণধর্ষণের শিকার তরুণী
তবে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দিহানের বাসার দারোয়ান দুলাল ঘটনার দিনের যে বর্ণনা দিয়েছেন, এর সঙ্গে দিহানের দেওয়া বর্ণনার অনেকটাই মিল পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণে এমন তথ্য মিললেও এখনো মৃত্যুর সঠিক কারণ খুঁজে বের করা সম্ভব হয়নি।
তাই জিজ্ঞাবাসাদের জন্য ওই দিন দায়িত্বে থাকা প্রহরী পলাতক দুলালকে আটক করেছে পুলিশ।