নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জা তার বড় ভাই সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের উদ্দেশে বলেছেন, শুনতে খারাপ লাগবে। কী করবেন আপনি? জেলে দেবেন, সেটার অভ্যাস আমাদের অনেক আগেই আছে। আপনার চেয়ে বেশি খেটেছি। মেরে ফেলবেন? কবরের জায়গা দেখিয়ে দিয়েছি। আপনার কাছ দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছি। আপনি বলছেন আমাকে এখান দিয়ে দিয়ো, আমি আপনার পাশে দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছি। আপনাকে ভালোবাসি, এখনো আপনি আমার রাজনৈতিক আদর্শ। এখনো কোম্পানীগঞ্জের নেতা–কর্মীরা আপনাকে শ্রদ্ধা করে। শনিবারের পর থেকে আর এই শ্রদ্ধা থাকবে না। স্পষ্ট ভাষায় বললাম।’
বসুরহাট রূপালী চত্বরে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে সোমবার (২৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, ওবায়দুল কাদের আমাদের রক্তচক্ষু দেখাচ্ছেন। আমাদের কোনো প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করতে দিচ্ছেন না। আমি কোনো রক্তচক্ষুকে ভয় করি না।
আরো পড়ুন: কাদের মির্জা অসুস্থ, তার চিকিৎসা দরকার: একরাম
আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ‘আমি নেতার কথা বলব না। উনি কোনো রকমের কথাবার্তা বলছেন না। আমি আজ স্পষ্ট ভাষায় বলব, আপনারা কী জানেন আমি রাজাকারের সন্তান? ওবায়দুল কাদের সাহেব উনি বড় নেতা। উনি ওনার দৃষ্টিকোণ থেকে এটাকে কোনভাবে নিয়েছেন, আমি জানি না। আমাদেরকে প্রতিবাদ করতে দিচ্ছে না। আমাদেরকে কর্মসূচি পালন করতে দিচ্ছে না। রক্তচক্ষু দেখাচ্ছেন। আমি কারও রক্তচক্ষুকে ভয় পাই না। আমি কার খাই, না পরি? আমরা কি কথা বলতে পারব না? থামিয়ে দেবেন? থামিয়ে দিতে পারবেন না। একরাম চৌধুরীকে দল থেকে বহিষ্কার করতে হবে। আমাদের দাবি মানতে হবে। নোয়াখালী আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটি বাতিল করতে হবে।’
এ প্রতিবাদ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইস্কান্দার হায়দার চৌধুরী বাবুল, বসুরহাট পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আজম পাশা চৌধুরী রুমেল, চরপার্বতী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম তানভীর, বসুরহাট পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সেক্রেটারি ফয়সাল।
একটিভ নিউজ
আপনার মতামত লিখুন :